স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা নাকি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে? এমনই দাবি করে একটি তালিকা নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে হয়েছিল মিডিয়ায়। তবে সেই রিপোর্টকে ভুয়ো আখ্যা দিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল নীতি আয়োগ। প্রসঙ্গত, গতবছর অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশের সময় ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ নিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন। এরপর থেকেই জল্পনা তৈরি হয়েছে তা নিয়ে।
1/5এই নিয়ে নীতি আয়োগের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, 'নীতি আয়োগের নাম করে পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলির বেসরকারিকরণ সংক্রান্ত একটি তালিকা মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছে। এই তালিকার মাধ্যমে কাল্পনিক বার্তা প্রচার করা হচ্ছে। নীতি আয়োগের তরফে জানানো হচ্ছে যে উল্লিখিত সেই তালিকাটি নীতি আয়োগের তরফে প্রকাশ করা হয়নি।'
2/5প্রসঙ্গত, মিডিয়ার একাংশ সম্প্রতি একটি তালিকা প্রকাশ করে। দাবি করা হয়, তালিকায় থাকা ব্যাঙ্কগুলিকে বেসরকারিকরণের পথে হাঁটবে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের কয়েকটি বৃহত্তম সরকারি ব্যাঙ্ক ছিল সেই তালিকায়। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, কানাড়া ব্যাঙ্ক, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক এবং ব্যাঙ্ক অফ বরোদা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এই তালিকায়। তবে নীতি আয়োগ জানিয়ে দিয়েছে যে এই তালিকায় ভুয়ো।
3/5এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার গত ১৯ ডিসেম্বর স্পষ্ট করে দিয়েছে যে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাথে আলোচনার পর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির বেসরকারিকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভাগবত কারাদ লোকসভায় একটি লিখিত উত্তরে উল্লেখ করেছেন যে বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে ক্যাবিনেট কমিটি। ভারত সরকারের (ব্যবসা লেনদেন) বিধিমালা, ১৯৬১-এর অধীনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
4/5জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে বেসরকারিকরণের জন্য দুটি সরকারি ব্যাঙ্কের নাম চূড়ান্ত করার জন্য বলা হয়েছিল নীতি আয়োগকে। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের বাজেটে এর ঘোষণা করা হয়েছিল। দুই ব্যাঙ্কের পাশাপাশি বেসরকারিকরণের জন্য একটি সাধারণ বিমা সংস্থার নামও নির্বাচন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল নীতি আয়োগকে।
5/5সরকারি সংস্থা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বেসরকারিকরণ করে সরকার মোট ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা তোলার পরিকল্পনা করেছিল। এরই মাঝে গত ডিসেম্বরে ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়ার মেয়াদ বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকার। আইডিবিআই ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তার মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়।