কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজ নেওয়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তবে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করে যে, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের দু'টি ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান ৬-৮ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ১২-১৬ সপ্তাহ করা হল।
এই আবহে এদিন নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ডঃ ভিকে পাল বলেন, 'আমি হাত জোড় করে সবার কাছে আবেদন করছি এই বিতর্ক দূরে সরিয়ে রাখুন। আমি আপনাকে একজন বিজ্ঞানী হিসেবে বলছি যে এই সিদ্ধান্তটি পুরোপুরি বৈজ্ঞানিক।' উল্লেখ্য, ডোজের ব্যবধান বাড়ানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে অনেকেই দাবি করেছেন, ভ্যাকসিনের ঘাটতি পূরণ করতে এই ব্যবস্থা।
তিনি এদিন আরও বলেন, 'এই ডোজের ব্যবধান বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কোনও চাপের মুখে নেওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগ পুরো ভিত্তিহীন। আমাদের বৈজ্ঞানিক সংস্থাগুলিতে স্বতন্ত্র বিজ্ঞানীরা রয়েছেন। ন্যাশনাল টেকনিকাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন গত এক বছর ধরে দেশকে দিশা দেখাচ্ছে।'
এদিকে দেশের টিকার ঘাটতি মেটাতে অন্যান্য কোম্পানিদের কোভিড টিকা কোভ্যাক্সিন উত্পাদনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ও ভারত বায়োটেক। এই বিষয়ে গতকাল নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ ভিকে পল বলেন, 'মানুষ বলছে যে অন্যান্য কোম্পানিকে কোভ্যাক্সিন উত্পাদন করতে দেওয়া হোক। আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, কোভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারক কোম্পানি ভারত বায়োটেকের সঙ্গে যখন আমরা এ ব্যাপারে আলোচনা করি, তখন তারা এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে।'