তাঁর মন্তব্যের 'ভুল ব্যাখ্যার' জন্য কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা এবং প্রধানমন্ত্রী দফতরকে ট্যাগ করে বর্ষীয়ান নেতা স্পষ্ট জানিয়েছেন, যাঁরা 'বিভ্রান্তিকর' খবর ছড়াচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
বৃহস্পতিবার একাধিক টুইটবার্তায় গডকড়ি বলেন, 'আবারও কোনও প্রসঙ্গ ছাড়াই জনসভায় দেওয়া আমরা মন্তব্যকে মূলধারার সংবাদমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়া এবং কয়েকজন নির্দিষ্ট ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থে জঘন্য কর্মসূচি চালানোর চেষ্টা চলছে।' নিজের ভাষণের পুরো অংশ দিয়ে সেইসঙ্গে তিনি বলেছেন, 'হাতেগোনা কয়েকজনের এরকম জঘন্য পরিকল্পনা আমি কখনও বিব্রত হয়নি। কিন্তু যাঁরা এরকম করছেন, তাঁদের স্পষ্টভাবে বলছি যে আমাদের সরকার, দল এবং লাখ-লাখ পরিশ্রমী কর্মকর্তার বৃহত্তর স্বার্থে আইনের সামনে দাঁড় করিয়ে দিতে পিছপা হব না।'
সম্প্রতি আপ নেতা সঞ্জয় সিং একটি ভিডিয়ো টুইট করেছিলেন। তাতে গডকড়িকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার পদ গেলে যাবে, আমার কোনও যায় আসে না।’ আপ নেতা দাবি করেন, বিজেপির মধ্যে সবকিছু ‘ঠিক নেই।’ তারইমধ্যে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, গডকড়ি বলেছেন যে সময়মতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না সরকার। যা নিয়ে কানাঘুষো শুরু হয়েছিল। বিশেষত সম্প্রতি তিনি বিজেপির সংসদীয় কমিটি বাদ পড়ায় আরও জল্পনা ছড়ায়। বিরোধীরা আক্রমণ শানাতে পিছু হটেনি। তবে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও সমালোচনা করেননি গডকড়ি।
'টোলপ্লাজা উঠে যাবে'
সম্প্রতি গডকড়ি জানান, ছয় মাসের মধ্যে দেশে সব হাইওয়ে থেকে টোলপ্লাজার ব্যবস্থা উঠে যাবে। পরিবর্তে গাড়ির নম্বর প্লেটের থেকেই সরাসরি টোল কেটে নেওয়ার ব্যবস্থা থাকতে পারে বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর মতে, টোলপ্লাজা দেশের অনেক সমস্যার কারণ। লম্বা লাইনে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। যানজট তৈরি হয়। তাই বিকল্প উপায় খোঁজা হচ্ছে। ‘সরকার দুটি বিকল্প পথ খুঁজছে। উপগ্রহভিত্তিক জিপিএস ব্যবস্থার কথা ভাবছে সরকার। তাহলে গাড়ির মালিকের অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি টাকা কেটে নেওয়া হবে বা নম্বর প্লেট থেকে সরাসরি টাকা কেটে নেওয়া হবে, এমন বিকল্পের কথাও ভাবা হচ্ছে।’
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্যাটেলাইট ব্যবহার করে জিপিএস ব্যবহার করতে চাই ফাস্ট্যাগের বদলে। নয়া পদ্ধতি চালু করার প্রক্রিয়ায় আছি আমরা এবং এর ভিত্তিতে আমরা টোল নিতে চাই। নম্বর প্লেটেও প্রযুক্তি পাওয়া যায় এবং ভারতেও অন্যান্য আরও ভালো প্রযুক্তি পাওয়া যায়। আমরা নির্দিষ্ট প্রযুক্তি বেছে নেব। যদিও আমরা আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিইনি। আমার দৃষ্টিতে নম্বর প্লেট প্রযুক্তিতে কোনও টোলপ্লাজা থাকবে না এবং একটি অত্যাধুনিক কম্পিউটারাইজড ডিজিটাল সিস্টেম থাকবে, যার মাধ্যমে আমরা চালকদের স্বস্তি দিতে পারি। কোনও লাইন থাকবে না এবং মানুষ বড় স্বস্তি পাবে। ছয় মাসের মধ্যে আমি এটি করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। দেশের মানুষকে যানজটের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে এটি জরুরি।’