পেট্রোলের দাম দিন দিন বাড়ছে। অন্যদিকে বাড়ছে পরিবেশ দূষণের হার। সারা বিশ্ব জুড়েই এখন এই নিয়ে সচেতনতার হার বাড়ছে। পুনর্নবীকরণ শক্তির দিকে ঝুঁকছে বিশ্ব। প্রযুক্তি নির্মাতারাও তেমন শক্তিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। সম্প্রতি সেই দিকেই এক ধাপ এগিয়ে গেল ভারত। পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ির হাতে উদ্বোধন হল বিশ্বের প্রথম পেট্রোল ছাড়া চলতে পারা গাড়ির । এই ধরনের গাড়ি চালাতে ব্যবহার করা হবে ইথানল। গাড়ির প্রযুক্তি পেট্রোল ও ইথানলের মিশ্রণে চলতে পারে। সর্বাধিক ৮৩ শতাংশ পেট্রোলে এই গাড়ি চালানো যায়। তবে ১০০ শতাংশ ইথানল দিয়েও এই চার চাকা আরামে চালানো যাবে। সম্প্রতি লাইভ মিন্টের সাসটেনেবিলিটি সামিটে এই বক্তব্য রাখেন নীতিন। তিনি বলেন, ‘আত্মনির্ভর হতে গেলে পেট্রোলের ব্যবহার কমাতে হবে। চলতি বছরে ভারতে ১৬ লাখ কোটি টাকার পেট্রোল লেগেছে।’ দেশের জন্য একে বিরাট ক্ষতি বলেই ব্যাখ্যা করছেন নীতিন।
(আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে অসুস্থ খুদে, বাঁচাতে এগিয়ে এলেন যাত্রী চিকিৎসকদল! কী হল তার পর)
এই প্রসঙ্গে উঠে আসে পরিবেশ দূষণের কথাও। সেই দিকটা রীতিমতো গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে মোদী সরকার, এমনটাই জানান নীতিন গড়কড়ি। মিন্ট সাসটেনেবিলিটি সামিটে তিনি বলেন, ‘পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ও গ্যাস ব্যবহারে সরকার বেশ তৎপর। এর জন্য নানারকম ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। তবে আরও ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার আছে বলে জানান তিনি। বায়ু ও জলদূষণের হার কমাতে গেলে এই ব্যবস্থা দ্রুথ নেওয়া জরুরি বলেই জানান তিনি। তাঁর কথায় উঠে আসে ভারতের জলসম্পদের কথা। এর বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে নদীনালা। নদী দূষণের কারণে যে দূষণ বাড়ছে, সে কথাও স্বীকার করে নেন তিনি।
(আরও পড়ুন: মাথার মধ্যে বাসা বেঁধেছে পোকা! অস্ট্রেলিয়ার ভয়ঙ্কর কাণ্ডে তাজ্জব গোটা বিশ্ব)
ইথানল কেন পরিবেশবান্ধব?: কার্বন মনো অক্সাইডের নির্গমন কমায় ইথানল। এটি আদতে একটি জৈব যৌগ। বৈজ্ঞানিক ফর্মুলা C2H5OH। শর্করার সন্ধান প্রক্রিয়ায় এই জ্বালানি তৈরি করা যায়। ভারতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইথানল আখ থেকে তৈরি হয়। ইতিমধ্যেই সরকার ইথানল ব্লেন্ডিং প্রোগ্রাম চালু করেছে। এই প্রকল্পে পেট্রোলের সঙ্গে ইথানল মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়। এতে পেট্রোল কম লাগে, ফলে দূষণের পরিমাণ কমতে থাকে। ২০২৫ সাল নাগাদ পেট্রোলে ২০ শতাংশ ইথানল মেশানোর লক্ষ্য নিয়েছে ভারত সরকার।