চারধাম রুটে যাতায়াতের সময়, তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষা বজায় রাখতে বড় পরিকল্পনা সরকারী। ভারত চিনের বর্ডারের সংলগ্ন এই মহাসড়কে প্রতিরক্ষার সরঞ্জাম মোতায়েন রাখতে, চলাচলের সুবিধা বাড়াতে রাস্তা চওড়া করার কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গডকড়ি। তিনি ঘোষণা করেছেন যে চার ধাম মহাসড়কের যে ১৫০ কিলোমিটার রুট ভাগীরথী ইকো-সেনসিটিভ অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রসারিত, তার প্রস্থ ন্যূনতম ১০ মিটার হতে হবে।
ভাগীরথী ইকো-সেনসিটিভ অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রসারিত চারধাম রুটের বাকি অংশ ১০ থেকে ১২ মিটার চওড়া হবে কিনা, সে সম্পর্কে কংগ্রেস সাংসদ রঞ্জিত রঞ্জন প্রশ্ন করেছিলেন। জবাবে মন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন যে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যালোচনা করেছে এবং বিচারপতি সিক্রির সভাপতিত্বে উত্তরাখণ্ডের সাংসদ এবং মন্ত্রীদের একটি সভায় আলোচনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: (Bangladesh violence: ‘আমাদের শত্রুকে সাহায্য করলে....’ হাসিনা ইস্যুতে ভারতকে সতর্ক করল BNP)
কী কী বলেছেন মন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে, মন্ত্রী আরও বলেছেন যে যেহেতু এই রাস্তাটি ভারত-চিন সীমান্তের সঙ্গে সংযুক্ত, তাই এই রাস্তায় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম অর্থাৎ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বহন করার জন্য ও ট্রাক চলাচল করার জন্য রাস্তাটি যথেষ্ট প্রশস্ত হওয়া প্রয়োজন। এরই পাশাপাশি এই রাস্তাটি অত্যন্ত ভূমিধস প্রবণ। যে কোনও সময় রাস্তায় গাছ পরে, রাস্তা আটকে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। সব মিলিয়ে এই রাস্তায় পরিবেশগত উদ্বেগ মোকাবেলার জন্য এই রাস্তাটি চওড়া করতে হবে।
আরও পড়ুন: (আর ‘সুপ্রভাত’ বলতে হবে না পড়ুয়াদের, এবার হরিয়ানার সরকারি স্কুলগুলিতে আওয়াজ উঠবে ‘জয় হিন্দ’)
মন্ত্রী জোর দিয়েছিলেন যে ১৫০ কিলোমিটার প্রসারিত রাস্তাটি চিন সীমান্তের কাছে হওয়ায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। তবে, পরিবেশ সুরক্ষা, জাতীয় নিরাপত্তা এবং তীর্থযাত্রীদের সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখা হবে বলে আশ্বস্তও করেছেন মন্ত্রী। তিনি আরও হাইলাইট করেছেন যে সরকার ইতিমধ্যে লক্ষ লক্ষ গাছ রোপণ করেছে এবং ৭৮,০০০ প্রতিস্থাপন করেছে।
২০২২ সালে, কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক ভাগীরথী ইকো-সংবেদনশীল অঞ্চলের জন্য জোনাল মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন করেছে, যা ৪১৭৯,৫৯ বর্গ কিমি জুড়ে গোমুখ থেকে উত্তরকাশী পর্যন্ত বিস্তৃত। সেই বছর একটি পর্যালোচনা সভায়, গডকড়ি চারধাম রোড প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা এবং পরিবেশগত অনুমোদন সংক্রান্ত সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: (Manish Sisodia: দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ‘সুপ্রিম’ স্বস্তি মণীশ সিসোদিয়ার! শীর্ষ আদালতে মিলল জামিন)
বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন যে ভাগীরথী ইকো-সেনসিটিভ অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রসারিত রাস্তাটি আসলে ১০০ কিলোমিটার, ১৫০ কিলোমিটার নয়। পরিবেশবিদ মল্লিকা ভানোট কৌশলগত উদ্দেশ্যে রাস্তাটি অত্যধিক চওড়া করার সিদ্ধান্ত নেওয়া নিয়ে সমালোচনা করেছেন। তাঁর মতে, সম্ভাব্য দুর্যোগের ঝুঁকির হাত থেকে বাঁচার ভেবে রাস্তা তৈরি করার পরিবর্তে সীমান্ত সড়কে দুর্যোগ কীভাবে আটকানো যায়, সেটা চিন্তা করা উচিত।