সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ভারতের জনপ্রিয় চার রাজ্যে। সম্প্রতি, পার্লামেন্টের শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতীন গডকড়ি। এদিন গডকড়ি জানান যে প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় ১,৭৮,০০০ জন মানুষ মারা যান। সবথেকে দুঃখের বিষয় হল এই ধরনের অপঘাতে মৃত্যুর শিকার হন বেশিরভাগ কমবয়সীরা। মন্ত্রীর দাবি, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ৬০ শতাংশের বয়স ১৮-৩৪ বছরের মধ্যে। তবে, এরই মাঝে এক আশার আলো জাগিয়ে মন্ত্রী হাইলাইট করে এও বলেন যে ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ দুর্ঘটনা ও মৃত্যু ৫০ শতাংশ হ্রাস পাবে।
গডকরি কথায়, কোন চার রাজ্য দুর্ঘটনা প্রবণ
- উত্তরপ্রদেশ: ২৩,৬৫২
- তামিলনাড়ু: ১৮,৩৪৭
- মহারাষ্ট্র: ১৫,৩৬৬
- মধ্যপ্রদেশ: ১৩,৭৯৮
সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহর দেশের রাজধানী দিল্লি। গডকড়ি কথায়, এই শহরে ১,৪৫৭ জনেরও বেশি মৃত্যু হয়েছে। এর পরে, বেঙ্গালুরুর কথা আসে। ভারতের এই টেক শহরে ৯১৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন, এবং জয়পুরে ৮৫০ জন মারা গিয়েছেন। সড়ক দুর্ঘটনায় এত লোক মারা গেলেও, অনেকেই জনহিতের জন্য প্রণয়ন করা আইনকে ভয় করেন না বলে গডকড়ি অসন্তোষও প্রকাশ করেন। এক প্রশ্নোত্তর পর্বে এই অদ্ভুত পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, কেউ কেউ হেলমেট পরেন না, কেউ কেউ লাল সিগন্যালও অমান্য করেন।
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানান যে রাস্তায় ট্রাক পার্কিং দুর্ঘটনার একটি প্রধান কারণ এবং অনেক ট্রাক লেনের শৃঙ্খলা অনুসরণ করে না। এই দুর্ঘটনা কমাতে, তাই তিনি ভারতে বাস সংস্থা তৈরিতে আধিকারিকদের আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাসের জানালার কাছে একটি হাতুড়ি রাখতে হবে। যাতে দূর্ঘটনা ঘটলে সহজেই ভেঙে ফেলা যায়, যাতে প্রাণ বাঁচে মানুষের।
তিনি আরও বলেন যে যখন তিনি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেন, ভারতে রাস্তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে বিব্রত বোধ করেন। আফসোস করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, 'আমি আমার মুখ লুকোনোর চেষ্টা করি।' উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে নীতীন গডকড়ি ও তাঁর পরিবারও সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন। তিনি জানান, দীর্ঘদিন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়েছে। মন্ত্রীর কথায়, 'যদিও ভগবানের কৃপায় আমি এবং আমার পরিবার বেঁচে গিয়েছিলাম। তাই আমার দুর্ঘটনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আছে।'