দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে জ্বালানির দাম। এই আবহে বিকল্প জ্বালানির পক্ষে সওয়াল করে সংসদে হাইড্রোজেন চালিত গাড়ি করে পৌছলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করি। এদিন হাইড্রোজেন চালিত টয়োটা মিরাইয়ে চড়ে সংসদে পৌঁছে গড়করি বলেন, হাইড্রোজেনই হল জ্বালানির ভবিষ্যত। তিনি বলেন, ‘আত্মনির্ভর হওয়ার জন্য, আমরা সবুজ হাইড্রোজেন চালু করেছি যা জল থেকে উত্পন্ন হয়। এই গাড়িটি একটি পাইলট প্রকল্প। এখন দেশে গ্রিন হাইড্রোজেন তৈরির কাজ শুরু হবে। আমদানি কমানো হবে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।’
এর আগে জানুয়ারিতে মন্ত্রী বলেছিলেন যে দিল্লির রাস্তায় তাঁকে হাইড্রোজেন গাড়িতে দেখা যাবে। সাধারণ জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতেই এই পদক্ষেপের কথা বলেছিলেন গড়করি। সেই মতোই জাপানের টয়োটা কোম্পানির গাড়িতে আজ তাঁকে দেখা গেল। এদিকে গাড়িতে ব্যবহৃত হাইড্রোজেন জ্বালানি এসেছে ফরিদাবাদ-ভিত্তিক ইন্ডিয়ান অয়েল পাম্প থেকে।
এর আগে সংসদেও সম্প্রতি মন্ত্রী বিকল্প জ্বালানি সম্পর্কে কথা বলেছেন এবং বলেছেন যে বৈদ্যুতিক অটোমোবাইলের দাম কমিয়ে আনবে সরকার। তাঁর দাবি, আগামী দুই বছরে পেট্রোল চালিত যানবাহনের সমান দাম হবে বৈদ্যুতিক অটোমোবাইলের। তিনি বলেন, ‘আমি বলতে পারি সর্বোচ্চ দুই বছরের মধ্যে ইলেকট্রিক স্কুটার, গাড়ি, অটোরিকশার দাম পেট্রোল চালিত স্কুটার, গাড়ি, অটোরিকশার মতোই হবে। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির দাম কমছে। আমরা জিঙ্ক-আয়ন, অ্যালুমিনিয়াম-আয়ন, সোডিয়াম-আয়ন ব্যাটারির এই রসায়ন বিকাশ করছি। যদি পেট্রোলচালিত গাড়ি ব্যবহারে আপনি ১০০ টাকা খরচ করেন, তাহলে বৈদ্যুতিক গাড়িতে আপনি ১০ টাকা খরচ করবেন।’