রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘের (আরএসএস) চোখের মণি ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি একাধিক ‘অস্বস্তিকর’ মন্তব্যের জেরে নীতিন গডকড়ির উপর কিছুটা বিরক্ত ছিল সংঘও। তা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির তেমন পরিবর্তন হয়নি। সেজন্য সংঘ বিজেপির সংসদীয় বোর্ড থেকে গডকড়িকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল বলে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, 'খোলাখুলি' মন্তব্যের জেরে কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রীর উপর তেমন প্রসন্ন ছিল না আরআরএস। তারপরই বিজেপির সংসদীয় বোর্ড থেকে গডকড়িকে সরিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেয়। সংঘ এবং বিজেপি একমত হয়েছিল, যত বড় মাপের নেতাই হোক না কেন, সংগঠনের নীতি লঙ্ঘন করার বিষয়টি কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তা কোনওভাবে বরদাস্তও করা হবে না।
আরও পড়ুন: Nitin Gadkari: পদ নিয়ে চিন্তিত নই - গডকড়ির ভিডিয়ো নিয়ে শোরগোল, পরে জানা গেল আসল তথ্য
সূত্র উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রাথমিকভাবে সংসদীয় বোর্ড থেকে সরিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে প্রাথমিকভাবে একদফায় ‘কড়া’ ডোজ দেওয়া হয়েছে। এক সূত্র বলেছেন যে ‘উনি মাঝেমধ্যেই (দল বা সরকারের) ঘোষিত লাইনের বাইরে গিয়ে মন্তব্য করেন। তাতে দল এবং সরকারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। বিজেপির তুলনায় তাঁর বয়ানে মাঝেমধ্যেই আরএসএস বেশি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তাঁকে সেরকম মন্তব্য থেকে বিরত থাকার যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তারপরও সেই কাজ থেকে বিরত থাকেননি গডকড়ি।’
গডকড়ির হুঁশিয়ারি
সম্প্রতি আপ নেতা সঞ্জয় সিং একটি ভিডিয়ো টুইট করেছিলেন। তাতে গডকড়িকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার পদ গেলে যাবে, আমার কোনও যায় আসে না।’ আপ নেতা দাবি করেন, বিজেপির মধ্যে সবকিছু ‘ঠিক নেই।’ তারইমধ্যে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, গডকড়ি বলেছেন যে সময়মতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না সরকার। যা নিয়ে কানাঘুষো শুরু হয়েছিল। বিশেষত সম্প্রতি তিনি বিজেপির সংসদীয় কমিটি বাদ পড়ায় আরও জল্পনা ছড়ায়। বিরোধীরা আক্রমণ শানাতে পিছু হটেনি। তবে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও সমালোচনা করেননি গডকড়ি।
তারইমধ্যে বৃহস্পতিবার একাধিক টুইটবার্তায় গডকড়ি বলেন, 'আবারও কোনও প্রসঙ্গ ছাড়াই জনসভায় দেওয়া আমরা মন্তব্যকে মূলধারার সংবাদমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়া এবং কয়েকজন নির্দিষ্ট ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থে জঘন্য কর্মসূচি চালানোর চেষ্টা চলছে।' নিজের ভাষণের পুরো অংশ দিয়ে সেইসঙ্গে তিনি বলেছেন, 'হাতেগোনা কয়েকজনের এরকম জঘন্য পরিকল্পনা আমি কখনও বিব্রত হয়নি। কিন্তু যাঁরা এরকম করছেন, তাঁদের স্পষ্টভাবে বলছি যে আমাদের সরকার, দল এবং লাখ-লাখ পরিশ্রমী কর্মকর্তার বৃহত্তর স্বার্থে আইনের সামনে দাঁড় করিয়ে দিতে পিছপা হব না।'