গণতন্ত্র নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মতামত প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতীন গডকড়ি। তিনি মন্তব্য করেছেন, গণতন্ত্রে রাজার (শাসকদের) কঠোর সমালোচনা সহ্য করার ক্ষমতা থাকা উচিত। আর কঠোর সমালোচনার পর সমস্যাগুলি কীভাবে সংশোধন করা যায় সেগুলি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা উচিত। গত শুক্রবার পুনের এমআইটি এখানে গৌরব গ্রন্থের প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দেন গড়কড়ি। সেখানেই তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: 'আমাকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল', জল্পনা উস্কে বড় দাবি গডকরির
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন বলেন, ‘গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হল রাজা তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত মতামতকেও সহ্য করতে পারে কিনা এবং তা নিয়ে আত্মদর্শন করতে পারে কিনা ।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারতে ভিন্ন মত থাকায় কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু, এখানে মতামতের অভাব রয়েছে।’ একইসঙ্গে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ডানপন্থী নই, বামপন্থীও নই। আমরা শুধু সুবিধাবাদী।’ তিনি লেখক ও বুদ্ধিজীবীদের নির্ভয়ে মতামত প্রকাশ করার বার্তা দিয়েছেন।
গডকড়ি বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্র বিশ্বের সবচেয়ে বড়। এটি দেশের কল্যাণের জন্য। সংবিধান আমাদের যা আছে তা প্রকাশ করার স্বাধীনতা দিয়েছে। আমরা স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে পারি। যুগের সঙ্গে সঙ্গে সমাজও পরিবর্তন হচ্ছে।’
জাতিগত জনগণনা নিয়েও এদিন মুখ খোলেন গডকড়ি? তিনি বলেন, ‘ আমি দীর্ঘদিন রাজনীতিতে আছি। আমার একমাত্র লক্ষ্য সমাজ সেবা করা। আদর্শের সঙ্গে কখনও আমি আপোষ করিনি। লোকসভা ভোটের আগে অনেককে বলেছি, কোনও ব্যক্তি তাঁর ধর্ম বা জাতপাতের গুণে বড় হন না, বড় হন তাঁর গুণে। সমাজ থেকে জাতপাতের ভেদাভেদ মুছে ফেলতে হবে।’
এর আগে, নাগপুরে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পদের কথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গডকড়ি। তিনি বলেছিলেন, যে একজন নেতা তাঁকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে তাঁকে সমর্থন করা হবে। তবে যে নেতা এই প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি কোন দলের তা জানাননি তিনি। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় গডকড়ি বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হওয়া আমার জীবনের লক্ষ্য নয়। আমি আমার সংগঠনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমার সংকল্প আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি সংকল্পই গণতন্ত্রের শক্তি।’ অন্যদিকে, রাস্তা মেরামত নিয়ে তিনি বলেছেন অনেকেই চিঠি লেখেন। তবে অনেক সময় রাস্তা মেরামত করতে গেলে উপর থেকে নির্দেশ নিতে হয়। এ নিয়ে এখনও কিছু বলতে চাইছি না। তবে অর্থ হাতে পেলে মেরামতের কাজ শুরু হবে।