লক্ষ্য, খুব কম সময়ে বেশি দূরত্ব পার করা। আর তার উদ্দেশেই মোদী সরকার উচ্চ গুণমান সম্পন্ন হাইওয়ে তৈরি করছে বলে এদিন কুমায়ুনের মাটিতে পা রেখে বলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি। উল্লেখ্য, ভোটমুখী উত্তরাখণ্ডে এদিন মোদী সরকারের কাজের প্রশংসা করে, দেশের সড়ক পরিবহনের উন্নতির নানান খতিয়ান দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
উত্তরাখণ্ডের কুমায়ুনে আয়োজিত বিজেপির বিজয় সংকল্প যাত্রা শেষ হয় মঙ্গলবার। সেই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে কুমায়ুনের খাতিমায় বিজেপির এই সভায় উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নীতিন গড়করি। সভা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রার জন্য এখন আর নেপাল, চিন, কিম্বা সিকিমের পথ ধরে যেতে হবে না। তিনি বলেন,'এখন এখান থেকেই সেখানে সোজা পৌঁছানো যাবে।' তিনি বলেন, উত্তরাখণ্ড হল দেবভূমি, দেবতা ও গঙ্গার উৎপত্তিস্থল এটি। গড়করি বলেন, 'আমরা গঙ্গা পরিচ্ছন্নতায় ২৫০০০কোটি টাকা ব্যয় করেছি।' একই সঙ্গে তিনি বলেন, এরাজ্যের যেখানেই এর আগে তিনি যেতেন, উত্তরাখণ্ডের মানুষ তাঁকে রাস্তার উন্নতির জন্য অনুরোধ করতেন। সেই প্রসঙ্গে তিনি প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির উদ্ধৃতি তুলে ধরে বলেন, 'আমেরিকা ধনী হওয়ার কারণে আমেরিকার রাস্তা ভাল না, কিন্তু রাস্তা আমেরিকাকে ধনী করেছে।'
এদিনের সভা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি বলেন, তিনি যখন সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের দায়িত্ব পান, তখন রাস্তাকে উন্নত করতে ২ লাখ কোটি টাকার অনুমোদন করেন। তিনি বলেন, 'আমরা রাস্তা উন্নয়নে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছি। মানুষ দেখবে দেরাদুর-দিল্লির দূরত্ব আগামী ২ বছরের মধ্যে ২ ঘণ্টা হচ্ছে।' একই সঙ্গে তিনি বলেন, 'মানুষ যখন দু ঘণ্টার মধ্যে দেরাদুন পৌঁছবেন, তখন বিমানে সফর করার কথা ভুলে যাবেন তাঁরা।' তিনি জানান বারো হাজার কোটি টাকায় ছয় লেনের হাইওয়ে তৈরি হচ্ছে। একইভাবে দিল্লি-হরিদ্বার ও দিল্লি-সাহারনপুরের পথেও উন্নত সড়কসংযোগ আসতে চলেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। মজার ছলে মন্ত্রী বলেন, আগে ৪.৫ ঘণ্টার রাস্তা পেরিয়ে দিল্লি থেকে মেরঠ যেতেন মানুষ, এখন মেরঠ থেকে মেরঠ থেকে আইসক্রিম খেতে দিল্লি যান অনেকে! এই সুর ধরেই বিজেপির সভা মঞ্চ থেকে নীতিন গড়করি বলেন, কেবলমাত্র ডবল ইঞ্জিন সরকার রয়েছে বলেই এটি সম্ভব। কেন্দ্র ও রাজ্যে বিজেপির সরকার থাকলেই এই উন্নয়নের ধারা বইবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য, উত্তরাখণ্ডে বিজয় সংকল্প যাত্রা গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের ২৮ টি নির্বাচনী কেন্দ্র পেরিয়ে তা শেষ হয় মঙ্গলবার।