ভোট কৌশলী নীতীশ কুমার। সমাজকর্মী প্রশান্ত কিশোর। রাজনীতির আঙিনায় তিনি পিকে নামেই পরিচিত। সেই পিকে মঙ্গলবার বলেছেন, নীতীশ কুমারকে সমর্থন করার জন্য বিজেপিকে একই পরিণতি ভোগ করতে হবে, যা লালুপ্রসাদ যাদবকে সমর্থন করার জন্য কংগ্রেসকে মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তাঁর দাবি, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার রাজ্য চালানোর মতো শারীরিক সক্ষমতা নেই বা শারীরিক ভাবে তিনি ফিট নন।
তাঁর রাজনৈতিক দল জন সুরজের আত্মপ্রকাশের একদিন আগে এই তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর বলেন, বিহারের মানুষ দুই প্রধান জোটকে কোণঠাসা করে বিধানসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা তুলে দেবেন।
প্রশান্ত কিশোর বলেন, নীতীশ কুমার বিহার চালানোর মতো শারীরিক, মানসিক ও রাজনৈতিক অবস্থায় নেই।
তিনি বলেন, নীতীশ কুমারকে সমর্থন করার জন্য বিহারের মানুষ বিজেপিকে শাস্তি দেবে।
তিনি বলেন, কংগ্রেস ১৫ বছর ধরে লালুপ্রসাদ যাদবকে 'জঙ্গলরাজ' চালাতে সাহায্য করেছে। বিহারের মানুষ কংগ্রেসকে সম্পূর্ণভাবে উৎখাত করেছে। বিজেপিরও একই পরিণতি হবে।
তিনি বলেন, নীতীশ কুমারকে সমর্থন করা বিজেপির রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা।
তিনি ক্ষমতায় থাকলে যে জোট হেরে যাবে তা তারা জানে, কিন্তু এটা বিজেপির রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা।
পিকে বলেন, নীতীশ কুমার জনজীবনে উপস্থিত ছিলেন না।
সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'বিহারের একটা বড় অংশ ভাবছে নীতীশ কুমার বিহারকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো মানসিক ও শারীরিকভাবে ফিট কিনা।
প্রশান্ত কিশোরের দাবি, জেডিইউ নেতার কেরিয়ার শেষ হতে চলেছে। তিনি বলেন, ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিহারের মানুষ নীতীশ কুমারকে একটি বার্তা দিয়েছিলেন যখন জেডি (ইউ) মাত্র ৪২ টি আসন জিততে পেরেছিল এবং বিজেপি ৭৪ টি আসন জিতেছে। ৭৫টি আসন পেয়ে একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি।
বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, বিজেপি সারা দেশে অন্য দলগুলিকে ভাঙছে, কিন্তু বিধানসভায় আরও অনেক আসন থাকা সত্ত্বেও নীতীশ কুমারকে বিহারের উপর 'চাপিয়ে দেওয়ার' পথ বেছে নিয়েছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রে সরকার চালাতে জেডিইউয়ের সাংসদদের দরকার বিজেপির।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, একটা সময় প্রশান্ত কিশোর ছিলেন বাংলার তৃণমূলের অন্যতম পরামর্শদাতা। বর্তমানে তিনি বিহারের রাজনীতির আঙিনায় নতুন করে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।ভোট কুশলী থেকে সমাজকর্মী। এরপর ক্রমেই উত্তোরণ হচ্ছে রাজনীতিবিদ হিসাবে।
পিটিআই সূত্রে খবর