ক্রমেই দূরত্ব বাড়ছে বিজেপি ও নীতীশ কুমারের। এই আবহে বিহারে সরকার পতনের জল্পনা শুরু হল নীতীশের এক ফোনে। জানা গিয়েছে, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে নীতীশ ফোনে কথা বলেছেন। আর এই আবহে সরকারের পালাবদলের জল্পনা আরও তুঙ্গে। জানা গিয়েছে, সোনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছেন নীতীশ। এদিকে নিজের দলের বিধায়কদের বৈঠক ডেকেছেন নীতীশ। কংগ্রেস ও আরজেডিও পৃথক বৈঠক করতে চলেছে। এহেন তৎপরতায় নীতীশের শিবির বদলের জল্পনা আর জোরালো হচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগেও বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে কংগ্রেস-আরজেডির সমর্থনে সরকার চালিয়েছিলেন নীতীশ।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে নীতীশের দলের থেকে অনেক বেশি আসন পায় বিজেপি। তবে নীতীশকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয়। কিন্তু ক্রমেই দুই দলের মনোমালিন্য প্রকাশ্যে আসতে থাকে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয় কেন্দ্রে আরসিপি সিংয়ের মন্ত্রিত্ব নিয়ে। একদা নীতীশ ঘনিষ্ঠ আরসিপিকে মন্ত্রী করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের। তবে তা চাননি নীতীশ। এই আবহে আরসিপিকে রাজ্যসভার টিকিট দেয়নি জেডিইউ। এই আবহে মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন আরসিপি। তাঁর বিজেপিতে যোগদান নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে।
এরই মাঝে নীতীশ কুমারের দল জনতা দল ইউনাইটেড রবিবার জানিয়ে দিয়েছে যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তাদের কোনও প্রতিনিধিত্ব থাকবে না। এর জেরে আরও জোরালো হয়েছে ভাঙনের সম্ভাবনা। জেডিইউর কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজীব রঞ্জন সিং জানিয়েছেন, আরসিপি সিংয়ের চলে যাওয়াটা প্রত্যাশিতই ছিল। তাঁর শরীর ছিল একজায়গায়। তাঁর মন ছিল অন্য জায়গায়। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা নীতি আয়োগের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন নীতীশ। তা নিয়েও জলঘোলা শুর হয়েছে। এদিকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরসিপি সিংয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। এনিয়ে কৈফিয়ৎ চেয়েছিল দল। তারপরই জেডিইউ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। এদিকে আরসিপির বিরুদ্ধে তদন্তের ইঙ্গিত দিয়েছেন নীতীশ। এই সবকিছুর মাঝে বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ডামাডোলের মধ্যে রয়েছে।