সুপার ওভারে বিহারে ম্যাচ হারলে কি হবে, এখনই পরাজয় স্বীকার করতে রাজি নন তেজস্বী যাদব। নির্বাচন কমিশন যদি তাদের প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব না দিতে পারে, তাহলে আদালতে যাওয়ার হুমকি দিলেন তিনি। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী কে হবে, এই প্রশ্ন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করলেন নীতিশ কুমার।
এদিন দলের নবনির্বাচিত বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন নীতিশ কুমার। তিনি বলেন কবে শপথগ্রহণ হবে সেটা ঠিক হয়নি। শুক্রবার চার শরিক দলের বৈঠক হবে সেখানে এই নিয়ে আলোচনা হবে। বিহারের ছয় বারের মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, সেটা এনডিএ ঠিক করবে। নীতিশের দাবি যে তাঁর কোনও ব্যক্তিগত স্বার্থ বা প্রত্যাশা নেই। তিনি শুধু মানুষের সেবা করতে চান।
এনডিএ ১২৫ আসন পেলেও জেডিইউ পেয়েছে ৪৩, বিজেপি ৭৪, হ্যাম ও ভিআইপি ৪টি করে আসন পেয়েছে। এলজেপির জন্যই জেডিইউ-র আসন কমেছে সেটা জানিয়ে নীতিশ বলেন যে বিজেপি ঠিক করবে চিরাগের দল এনডিএ-তে থাকবে কিনা।
অন্যদিকে মহাগঠবন্ধনের দলগুলির প্রেস কনফারেন্সে আদালতে যাওয়ার হুমকি দিলেন তেজস্বী যাদব। বিভিন্ন প্রক্রিয়াগত ত্রুটি ও বিপুল সংখ্যক পোস্টাল ব্যালট বাতিল করার বিষয় নির্বাচন কমিশন যদি সন্তোষজনক কোনও ব্যাখ্যা না দেয়, তাহলে তারা আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানান লালু পুত্র।
তেজস্বী বলেন গণনা প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ত্রুটির জন্য কমপক্ষে ২০টি আসনে তাদের পরাজয় হয়েছে। জনমত তাঁরা পেলেও নির্বাচন কমিশনের ফলাফলে এনডিএ জিতেছে বলে কোনও প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ আনেন তিনি।
তিনি বলেন মাত্র ০.১ শতাংশের ভোট কম পেয়েছে মহাগঠবন্ধন। তাতে ১৫ আসনের ফারাক হয়ে কি করে, তাঁর প্রশ্ন। কেন বহু জায়গায় পোস্টাল ব্যালট খারিজ করা হল ও লিখিত চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও পোস্টাল ব্যালটের পুনর্গণনা হল না, সেই প্রশ্ন করেন তিনি। এদিন জেডিইউ-র তৃতীয় স্থান পাওয়া নিয়েও কটাক্ষ করেন তরুণ তেজস্বী। তাঁর কথায়, লজ্জা থাকলে নীতিশের এবার গদি ছাড়া উচিত। কংগ্রেসের খারাপ ফলাফলের জন্যই মহাগঠবন্ধন হারল, অনেক মহল থেকে এই কথা উঠে আসছে। তেজস্বী অবশ্য প্রকাশ্যে অন্তত তাদের দোষ দিতে রাজি হননি।