২০১৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে বিহারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে মদ। সেই ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে সোমবার এক সভায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেন, যে পর্যটকরা মদ ছাড়া থাকতে পারেন না, তাঁরা যেন বিহারে না আসেন। বিহারের সাসারামে এক সভায় এদিন বক্তব্য রাখছিলেন নীতীশ কুমার। উল্লেখ্য, বিহারে 'সমাজ সুধার' অভিযানের অংশ হিসাবে এদিন তিনি এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই মদ্যপান বিরোধী সুর তোলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, বিহারের 'সমাজ সুধার অভিযানের' অংশ হিসাবে বাল্য বিবাহ ও পণপ্রথা বিরোধী সচেতনতাও একটি দিক। সেই মর্মে বিভিন্ন এলাকায় বিহার সরকার সচেতনতা গড়ে তুলছে। এদিকে, সমাজ সচেতনতা মূলত এই অনুষ্ঠানের আয়োজনে সাসারামের মতো এলাকা বেছে নেওয়ার নেপথ্যে রয়েছে একাধিক কারণ। বিহারের সাসারামের ভৌগলিক অবস্থান বলছে, এই এলাকার পাশেই রয়েছে উত্তর প্রদেশ ও ঝাড়খণ্ড সীমান্ত। এই এলাকা দিয়ে বহুবার মদের চোরা চালানের খবর মিলেছে। নীতীশ কুমার এদিন তাঁর ভাষণে সেকথা উল্লেখ করে বলেন, উত্তর প্রদেশ ও ঝাড়খণ্ড থেকে বহু চোরাচালানকারী মদ নিয়ে আসছে, বলে তাঁর কাছে খবর রয়েছে। এদিকে বিহারে মদ নিষিদ্ধ হয়ে গেলে পর্যটনে ক্ষতি হবে বলে অনেকেই নীতীশ সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। সেই ইস্যুতে নীতীশ বলেন, তাঁর সরকার মানুষের স্বাস্থ্য, শান্তি, সমৃদ্ধির সঙ্গে সমঝোতা করবে না। তিনি একই সঙ্গে বলেন,' আমি বলব কেউ যদি মদ ছাড়া না থাকতে পারেন , তাহলে বিহারে আসবেন না।'
এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই জনৈক সরোজিনী দেবী নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান। প্রতিবন্ধি অবস্থায় সরোজিনী কীভাবে মদের দোকান চালানো শুরু করেন আর স্থানীয় মহিলা সংগঠন 'জীবিকা' তাঁকে কীভাবে সেই ব্যবসা থেকে সরিয়ে এনে সুপথে চালনা করেন, সেকথা তিনি জানান। ঘটনার বিবরণ শুনে এদিন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী আবেগঘন হয়ে পড়েন। এদিনের অনুষ্ঠানে নীতীশ কুমারের সঙ্গে বিহারের মন্ত্রী সুনীল কুমার, অশোক কুমার, মঙ্গল পাণ্ডে, সহ মুখ্যসচিব ত্রিপুরারী সরণ উপস্থিত ছিলেন।