অরুণ কুমার
রবিবারই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করলেন বিহারের মুখ্য়মন্ত্রী নীতীশ কুমার। এদিকে কর্ণাটকে সিদ্ধারামাইয়ার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি কেজরিওয়াল। তারপরই জাতীয় রাজনীতিতে বিরোধী জোটকে নিয়ে নতুন করে জলঘোলা হতে শুরু করেছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, যেটা আমি প্রত্যাশা করছিলাম সেটা কর্ণাটক থেকে শুরু হয়েছে। দেশের স্বার্থে সকলের এক হওয়া দরকার। আমি সেটাই চেষ্টা করছি। তবে এর আগে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগার সময় কেজরিওয়ালের পাশেই ছিলেন। নির্বাচিত সরকারের উপর ক্ষমতা অর্পণের ক্ষেত্রে সুপ্রিম নির্দেশকেও মানছে না কেন্দ্র এই অভিযোগ তুলে তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন।
যেটা হচ্ছে সেটা অবাক করা ঘটনা। এই অসাংবিধানিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সকলের একজোট হওয়া দরকার। আমরা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পাশে রয়েছি। একটা বৃহত্তর বিরোধী মিটিংয়ের চেষ্টা আমরা করছি, যাতে একটা ঐক্য়বদ্ধ অবস্থানে নেওয়া যায়। জানিয়েছেন নীতীশ কুমার।
এদিকে কেজরিওয়াল জানিয়েছেন তিনি কেন্দ্রের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সমস্ত দলের প্রধানদের সঙ্গে দেখা করছেন।
এদিকে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নীতীশ কুমারের পাশাপাশি একাধিক মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু কেজরিওয়ালকে আমন্ত্রণ পাননি। তার সঙ্গেই বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীকেও সেই অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি। আর সেই পটভূমিকায় এবার কেজরিওয়ালের সঙ্গে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর এই মিটিং যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। মূলত অ-বিজেপি শক্তিগুলিকে একছাতার তলায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এবার বিহারে বৃহত্তর বিরোধী মিটিং হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
এক জেডিইউ নেতা জানিয়েছেন, গত মাসেও দিল্লিতে গিয়ে কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন নীতীশ কুমার। আবার কর্ণাটকের ঘটনার পরে ফের তিনি কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি যে বিরোধী জোটের প্রতি কতটা আন্তরিক সেটাও তিনি উল্লেখ করেন। আসলে দেশের গণতন্ত্রকে বাঁচানোর জন্য তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেকারণেই তিনি বৃহত্তর বিরোধী জোটকে গড়ে তুলতে চাইছেন।
এদিতে গত মাসে তিনি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, উদ্ধব ঠাকরে, অখিলেশ যাদব বাম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজার সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। ওড়িশা ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেছিলেন তিনি। সেক্ষেত্রে এবার জোটের জল কোন দিকে গড়ায় সেটাই দেখার।