ইন্ডিয়া জোটের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের নাম প্রস্তাব করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় জোটের অন্যতম কারিগর তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এই নাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু রবিবার, এই ধরনের কোনও খবরের সত্যতা অস্বীকার করেছে জনতা দল (ইউনাইটেট) নেতা নীতীশ। উল্টে তিনি জানিয়েছেন, খাড়্গে যদি প্রধানমন্ত্রী পদে ভাবা হয় তবে তাতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই।
তিনি জানান, জেডি (ইউ) ইন্ডিয়া ব্লক উভয় একত্রিত হয়েছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এক সঙ্গে লড়ার জন্য। তিনি বলেন, ‘আমি বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে মোটেই অসন্তুষ্ট নই।’
প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করার সময়, তিনি আবারও জানান কোনও পদে আগ্রহী নন। জেডি (ইউ) সুপ্রিমো বলেন, ‘আমরা সবাই এক সঙ্গে কাজ করছি। আমাদের মধ্যে অসন্তোষ নেই। আমি বলেছিলাম আপনারা যাকে চান বানিয়ে দিন...। আমি আসন ভাগাভাগি দ্রুত সম্পন্ন করার পরামর্শ দিয়েছি। আসন বণ্টনের ফর্মুলা নিয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
জেডি (ইউ) এর মধ্যে মতোবিরোধের সংক্রান্ত প্রতিবেদনের প্রসঙ্গে তুলে তিনি বলেন, ‘আমাদের দল ঐক্য বদ্ধ। আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবেই লড়াই করব।’
তবে মনে করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর নাম নিয়ে অসন্তোষ খবর প্রকাশিত হওয়ার পরপরই রাহুল গান্ধী নীতীশকে ফোন করেন। তার পর প্রকাশ্যে এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। কংগ্রেস অবশ্য এই ধরনের প্রচারকে ইন্ডিয়া জোট নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য মিডিয়ার একাংশের প্রচার বলে মন্তব্য করেছে।
জেডি (ইউ)-এর মিত্র দল রাষ্ট্রীয় জনতা দল নেতা লালু যাদবও নীতীশের অসন্তুষ্ট হা়ওয়ার খবরকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ভারতের উন্নয়ন হলেই তাঁরা উভয়েই খুশি।
গত মঙ্গলবার ইন্ডিয়া ব্লকের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খড়্গেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে প্রস্তাব করেছিলেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং শিবসেনা (ইউবিটি) প্রধান উদ্ধব ঠাকরে তাঁর এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন।
নীতীশ কুমার লালু যাদব কিছুক্ষণ পরেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান। পরে তিনি ২৯শে ডিসেম্বর তার দলের জাতীয় কাউন্সিলের একটি সভা আহ্বান করেন নীতীশ। এর পরই জোটে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নিয়ে তাঁর অসন্তোষ সংক্রান্ত জল্পনা শুরু হয় সংবাদমাধ্যমে।