বিহারে মদ নিষিদ্ধ হয়েছে ২০১৬ সালে। নীতীশ সরকারের আমলে এই সিদ্ধান্তের পরও সদ্য বিহারে পর পর বিষমদ কাণ্ড প্রকাশ্যে এসেছে। নীতীশের ঘরের এলাকা নালন্দাতেও বিষমদে মৃত্যুর খবর এসেছে। এদিকে রাজ্যসরকারের তরফে নীতীশ সহ গোটা প্রশাসনের কর্তারা মদ বিরোধী অভিযানে বিহারের বিভিন্ন জেলায় সচেতনতা শিবির করছেন। এদিকে, বাড়তে থাকা অবৈধ মদের ব্যবসা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এবার নয়া নির্দেশ দিয়েছেন নীতীশ কুমার।
২০১৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে বিহারে মদ বিক্রি বন্ধ রয়েছে। সেই বিষয়ে নীতীশ সদ্য একটি বৈঠকে যোগ দিয়ে বলেন, ‘পুরনো গবেষণা ও সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, বিহারে ১.৬৪ কোটি মানুষ মদ ছেড়ে দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, এরপর আর এই বিষয়ে কোনও গবেষণার প্রয়োজন নেই এর প্রভাব বিচার করতে। এরপরই নীতীশ বলেন, এবার প্রয়োজন মদ-মাফিয়ার কিনপিনদের পাকড়াও করার। যাতে এই মাফিয়া রাজ বন্ধ হয় ও নিষেধাজ্ঞা বন্ধ থাকে, তার জন্য রাজ্যবাসীকে সচেষ্ট হতে বলেন নীতীশ। তিনি বলেন, বিহারে মহিলাদের দাবি মেনে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। নীতীশ বৈঠকে যোগ দিয়ে বলেন, 'বিহার এটা সাফল্যের সঙ্গে করেছে। আর রাজ্যের মানুষের তার জন্য প্রশংসা প্রাপ্য।' উল্লেখ্য, বিহারে মদ্যপান বিরোধী অভযান,'সমাজ সুধার যাত্রা'র প্রশংসা করে নীতীশ এও বলেন যে, 'বহু শিক্ষিত উচ্চবিত্তরা এই সিদ্ধান্তের জন্য সমালোচনা করেন (আমার), তবে আমি এই সমালোচনায় কিছু মনে করি না।' নীতীশের দাবি, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে বিহারে বহু মানুষের জীবন উন্নততর হয়েছে। আর তার আলোচনা রাজ্যের বাইরেও চলছে।
এরসঙ্গেই সুর চড়া করে নীতীশ বলেন, 'কিছু অন্যয়কারীর জন্য এই পদক্ষেপ থেকে পিছিয়ে আসা যাবে না।' তিনি একই সঙ্গে বলেন, এই দুষ্কৃতীদের ধরতে প্রশাসনকে আরও বেশি পোক্ত হতে হবে। যাতে রাজ্যে অবৈধ মদের ব্যবসা বন্ধ হয় , তার জন্য প্রশাসনকে সতর্ক থাকার বার্তা দেন নীতীশ। তিনি বলেন, প্রয়োজনে ড্রোন, মোটর বোট, ফ্লাইং স্কোয়াড নিয়ে ময়দানে নামতে হবে। পর পর তল্লাশি চালিয়ে এই অবৈধ কাজে যারা যুক্ত তাদের ধরপাকড় করতে হবে। 'পুলিশ স্টেশন স্তরেও কড়া নজরদারির বন্দোবস্ত নিতে হবে। যে সরকারি কর্মীরা অন্যায় করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ তাঁরা মদ থেকে দূরে থাকার প্রতিজ্ঞা নিয়েছেন,' বলে জানান নীতীশ।