এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেষ্টা করেছেন। তবে বিজেপি বিরোধী অ-কংগ্রেসি জোটের ফর্মুলা ঠিক করতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই এই একই চেষ্টা করছেন তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। এই আবহে গতকাল তিনি পটনায় পৌঁছেছিলেন নীতীশ কুমার, তেজস্বী যাদবদের সঙ্গে দেখা করতে। সেখানে নীতীশ কুমার আশা করেছিলেন যে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নিজের সমর্থন দেখাবেন কেসিআর। তবে ঘটনাপ্রবাহ অন্যদিকে মোড় নেয় সাংবাদিক সম্মেলনে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি কেসিআর এবং নীতীশকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি।
কেসিআর-নীতীশের সাংবাদিক সম্মেলনের এক ভিডিয়ো আজ বিজেপি নেতারা পোস্ট করতে শুরু করেন। এরপরই এই ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, সাংবাদিক বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম জিজ্ঞেস করেন। এতে কেসিআর বলেন, ‘আমি এটা বলার কে হই? আমি যদি কারও নাম নেই তাহলে অন্য কেউ সেটার বিরোধিতা করতে পারে। এত তাড়াহুড়োর কী আছে।’ কেসিআর-এর এই কথার পরই চেয়ার ছেঁড়ে উঠে দাঁড়ান নীতীশ এবং তেজস্বী। কেসিআর-কে দেখা যায় নীতীশের হাত ধরে টানতে। তিনি নীতীশকে বসতে বলেন। সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে অনেক বিজেপি নেতাই নিজের নিজের মতো ব্যাখ্যা করেছেন।
বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিং আজ টুইট করে লেখেন, ‘এমন সাংবাদিক সম্মেলন দেখিনি। কেসিআর নীতীশ কুমারকে অপমান করেছেন।’ অন্যদিকে বিজেপির অমিত মালব্য বলেন, কেসিআরই অপমানিত হয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘কেসিআরকে কি এভাবেই অপমান করার জন্য পটনায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নীতীশ? নীতীশ কুমার তাঁকে তাঁর বক্তব্য সম্পূর্ণ করার প্রাথমিক সৌজন্যতাও দেননি। এটাইই নীতিশ কুমার। অহংকারে ভরা। কেসিআর এটাই চেয়েছিলেন হয়ত…’ এদিকে বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী টুইটে লেখেন, ‘নীতীশ কুমার কেসিআরকে ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নিজের নামে সিলমোহর দেওয়ার জন্য। কিন্তু কেসিআর তাঁর নাম পর্যন্ত নেননি। নীতীশজি উঠে মঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন। কংগ্রেস নেতারা রাহুল গান্ধীর নামে স্লোগান তুলল। এর চেয়ে অপমানজনক আর কী হতে পারে?’