সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এবং প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়ালকে আমন্ত্রণ করেছে ভারত। মে মাসে গোয়ায় এই সম্মেলন হওয়ার কথা। তারপরে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সম্ভাবনা নিয়ে জোড় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার স্পষ্ট করে দিলেন, দুই দেশের মধ্যে কূটনীতি চলছে না। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ভারতের সঙ্গে কোনও ব্যাকচ্যানেল আলোচনা হয়নি।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টের সিনেটে অধিবেশন চলাকালীন খার বলেন, ‘বাকি বিশ্বকে না জানিয়ে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে কোনও কূটনীতি চলছে না। আগের সরকারে এমন হতো কাউকে না জানিয়ে। তবে বর্তমান সরকার কাউকে কিছু না জানিয়ে কিছু করে না। কোনও ব্যাকচ্যানেল আলোচনা হয়নি।’ পরে পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মুমতাজ জহরা বালুচ একটি সাংবাদিক সম্মেলনে খারের বক্তব্য নিয়ে সম্মতি জানিয়েছেন। তিনিও স্পষ্ট করেছেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনও ব্যাকচ্যানেল কূটনীতি হয়নি।’
সেনেটে বক্তৃতা দিতে গিয়ে খার আরও বলেন, ‘পাকিস্তান সবসময় শান্তি স্থাপন করার জন্য পদক্ষেপ করেছে। এই মুহূর্তে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক অন্য জায়গায় রয়েছে। পাকিস্তানকে মাঝে মাঝে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য আন্তর্জাতিক ফোরামে অনুরোধ করা হয়েছে।’ এদিকে গোয়ায় বৈঠকে পাকিস্তান যোগ দেবে কি না সেবিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আলোচনার পর বৈঠকে অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লক্ষ্য করে বিতর্কিত বিবিসি ডকুমেন্টারি সম্পর্কে খার বলেন, ‘পাকিস্তান সবসময় গুজরাটে মুসলিম নিধন নিয়ে সোচ্চার।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup