বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যু মামলায় সিবিআই তদন্তের কোনও প্রয়োজন নেই।হলফনামা দাখিল করে সুুপ্রিম কোর্টে একথা জানাল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। একইসঙ্গে রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হল, অসমর্থিত টুইট ও খবরের ভিত্তিতে আর্জি দাখিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে সংশ্লিষ্ট পিটিশনারের সিবিআই তদন্তের আর্জি জানানোর কোনও অধিকার নেই।
গত ১৩ জুলাই সকালে রায়গঞ্জের বালিয়া থেকে হেমতাবাদের বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। তাঁর হাত বাঁধা ছিল। পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। একই দাবি করে বিজেপিও। যদিও রাজ্যের তরফে সিআইডির হাতে তদন্তভার দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন বিধায়কের স্ত্রী চাঁদিমা। সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল হাইকোর্ট।
সেই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন। তাঁর আর্জিতে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের টুইটের প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়। যিনি ‘রাজনৈতিক হিংসা’-র অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই মামলায় হলফনামা জমা দিয়ে রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অসমর্থিত বক্তব্য, টুইট এবং সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে তৃতীয় পক্ষের তরফে আর্জি দাখিল করা হয়েছে। তাতে কোনও প্রমাণ নেই। কোনও ব্যক্তির বক্তব্যের হলফনামা নেই। তাই মামলা হস্তান্তরের দাবি জানানোর কোনও অধিকার নেই। পাশাপাশি মামলায় সিবিআইয়ের হস্তক্ষেপ বা তদন্তের প্রয়োজন আছে বলে আবেদনকারী যে আর্জি জানিয়েছেন, তার কোনও ভিত্তি নেই।
অন্যদিকে, মৃত্যুর ঘটনায় সেপ্টেম্বর চার্জশিট দাখিল করেছে সিআইডি। তাতে জানানো হয়েছিল, আত্মহত্যা করেছেন বিজেপি বিধায়ক। আত্মহত্যায় প্ররোচনা-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় নিলয় সিং এবং মাবুদ আলিকে অভিযুক্ত করা হয়। দু'জনই বিধায়কের পূর্ব-পরিচিত ছিল। বিধায়কের থেকে টাকা নিয়েছিল তারা। তা শোধ করতে বলায় বিধায়ককে ভয় দেখানো হতে থাকে।