পৌলমী ঘোষ
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বিদেশ থেকে বসে অভিযোগ তুলেছিলেন, সংসদে বিরোধীদের বলতে দেওয়া হয় না। তার মাইক অফ করে দেওয়া হয়। এবার এনিয়ে মুখ খুললেন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। তিনি রাহুলের নাম না করে বলেন, হ্যাঁ একটি কালো অধ্য়ায় ছিল। সেটার নাম ছিল জরুরী অবস্থা।কিন্তু এটা আর এখন সম্ভব নয়।
তবে রাহুল গান্ধীর নাম না করে জগদীপ ধনখড় জানিয়েছেন, কেউ একজন দেশের বাইরে গিয়ে বলছে সংসদে তাঁর মাইক্রোফোন বন্ধ করে রাখা হয়। এর চেয়ে বড় মিথ্য়ে আর নেই। ধনখড় বলেন, আমি সাংবিধানিক কর্তব্যবোধ থেকে গোটা বিশ্বকে জানাচ্ছি এটা কখনও ভারতীয় পার্লামেন্টে হয়নি। হ্য়াঁ একটা সময় ভারতে কালো অধ্যায় এসেছিল। তার নাম হল জরুরী অবস্থা। তবে এখন আর সেটা হওয়া সম্ভব নয়। মিরাটে একটি আয়ুর্বেদিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি একথা জানিয়েছেন। তিনি এদিন বলেন, সংসদের মর্যাদা ফিরিয়ে আনবে তেমন একটা ওষুধের প্রয়োজন।
তিনি জানিয়েছেন, গণতন্ত্রের মন্দিরকে কখনও কালিমালিপ্ত হতে দেব না। আমাদের গণতন্ত্র শুধু সবথেকে বড়ই নয়, এটি হল গণতন্ত্রে জননী। এদিকে এর আগেও নাম না করে রাহুল গান্ধীর বক্তব্যকে নিশানা করেছিলেন ধনখড়। অন্য়দিকে রাহুলও বার বার অভিযোগ তুলেছিলেন তার মাইক বন্ধ করে দেওয়া সংসদে। বিদেশ থেকেও তিনি এনিয়ে সরব হয়েছিলেন।
এর আগে ধনখড় বলেছিলেন, বিদেশ থেকে একজন এমপি যে কথা বলছেন তা নিয়ে যদি আমি চুপচাপ বসে থাকি তবে আমি সংবিধানের নিরিখে ভুল করে ফেলব। সংসদে মাইক বন্ধ করে দেওয়া এই বক্তব্য়কে কি করে আমি মেনে নেব?
এদিকে ধনখড়ের এই বক্তব্যকে ঘিরে তির্যক মন্তব্য করেছেন কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি জয়রাম রমেশ। তিনি ধনখড়়ের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান কোনও শাসকদলের চিয়ারলিডার হতে পারেন না।
এদিকে সম্প্রতি বিদেশ থেকে মুখ খুলেছিলেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছিলেন, মোদী ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে নষ্ট করে দিচ্ছেন। তিনি জানিয়েছিলেন ভারতে বিরোধীদের দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়। পার্লামেন্টে কিছু বলতে গেলে তাদের মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। সমস্ত প্রতিষ্ঠানের উপর আক্রমণ নেমে আসছে। এবার এনিয়ে ফের মুখ খুললেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়।