ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনা। কিন্তু তাতেও মিলছে না কোনও সমাধানসূত্র। প্রাথমিক ভাবে প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১৪, ১৫ ও ১৭-এ বাফার জোন নির্মাণের ক্ষেত্রে দুই শিবির একমত হলও বাকি কিছুতে সমঝোতার রাস্তা বার করতে পারছে না ভারত ও চিন। সেই কারণে কার্যত থমকে সীমান্তে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া, বলেই ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রকৃত সীমান্ত রেখা বরাবর কিছু জায়গায় ডিসএনগেজমেন্ট প্রক্রিয়া কার্যত বন্ধ। ফরওয়ার্ড ও ডেপথ এরিয়ায় দুই পক্ষই প্রায় এক লক্ষ করে সেনা তৈরী রেখেছে। কিন্তু আপাতত প্যাংগং সো ও দেপসাংয়ে উত্তেজনা প্রশমনের কোনও সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না। সংঘর্ষের আঁচ লাদাখে কমবে, আপাতত তার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই সেনা সূত্রে খবর। এক সেনা কর্তা বলেন যে এটা শীতকাল অবধি গড়াবে ও পুরোপুরি প্রস্তুত ভারতীয় সেনা এতদিন যুঝে থাকার জন্য।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গত সপ্তাহে লাদাখে এসে বলেন যে চিনের সঙ্গে কথা চলছে। কিন্তু ঠিক কতটা কথা বলে সমাধান হবে, তা জানা নেই। বুধবার তিনি বায়ুসেনার অফিসারদের বলেন যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরী থাকুন।
সূত্রের খবর ১৪ তারিখ ভারতীয় ও চিনা কোর কম্যান্ডারদের প্রায় ১৫ ঘণ্টার বৈঠক হলেও, তার পর প্রায় স্থগিত সীমান্ত থেকে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া।
প্রাক্তন নর্থান আর্মি কম্যান্ডার ডি এস হুডা বলেছেন যে যা করার ভারতকেই করতে হবে। চিনারা ভারতীয় সীমান্তের এপারে বসে আছে। নামমাত্র সেনা সরিয়েছে তারা। কেন্দ্রকে ভাবতে হবে কিভাবে এই অচলাবস্থার অবসান ঘটানো যায়।