আইনে লাভ-জেহাদ সম্পর্কিত কোনও ধারা নেই ও তেমন কোনও ঘটনার কথা কেরালা থেকে জানা যায়নি, বলে সংসদে জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষেন রেড্ডি। এক কংগ্রেস নেতা প্রশ্ন করেছিলেন যে গত দুই বছরে কেরালায় লাভ জেহাদের কোনও ঘটনার কথা কি জানা গিয়েছে? তার উত্তরেই এই কথা জানান কেন্দ্রীয়মন্ত্রী।
এই শব্দটির কোনও আইনি ভিত্তি নেই বলেও এদিন স্পষ্ট করে কেন্দ্র। তবে রেড্ডি বলেন যে দুটি ভিন্ন ধর্মালম্বীর মধ্যে বিয়ের ঘটনা জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আতসকাঁচে রয়েছে। রেড্ডি বলেন যে সংবিধানের ২৫ ধারা অনুযায়ী নিজেদের ধর্ম মান্য করার অধিকার রয়েছে সব নাগরিকের। প্রসঙ্গত বিভিন্ন হিন্দু গোষ্ঠী বিভিন্ন সময় এই লাভ জেহাদের তত্ত্ব সামনে এনেছে। তাদের অভিযোগ হিন্দু মহিলাদের ভুলিয়ে, বিভ্রান্ত করে মুসলমান ছেলেরা ধর্ম পরিবর্তন করায়। এটিকেই লাভ জিহাদ নাম দেওয়া হয়েছে ও এর পিছনে সংগঠিত পরিকল্পনা রয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
হালে এই লাভ জেহাদের তত্ত্বকে মান্যতা দিয়েছে কেরালার মালাবার চার্চ। তাদেরও অভিযোগ যে ক্রিশ্টান ধর্মালম্বী মেয়েদের ধর্মান্তরণ করা হচ্ছে, পরে তাদের মেরেও ফেলা হচ্ছে। এতে কেরালার ধর্মনিরপেক্ষ ইমেজ কালিমালিপ্ত হচ্ছে বলেও চার্চ দাবি করেছিল।