বিহারে সরকার বদলে গিয়েছে। বিজেপি-জেডিইউ জোট ভেঙেছে। সরকার গড়েছে জেডিইউ, আরজেডি, কংগ্রেস। তবে বিধানসভার স্পিকার এখনও বিজেপির। এই আবহে স্বভাবতই স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছে সরকার পক্ষ। তবে সেই অনাস্থা প্রস্তাব আনতে অধিবেশন ডাকা হল ২৪ অগস্ট। বিজেপি নেতা তথা বিধানসভা স্পিকার বিজয় কুমার সিনহা পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে ১৪ দিন পর অধিবেশন ডাকতে হচ্ছে সরকার পক্ষকে। এর আগে স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে ৫০ জন বিধায়কের সই করা একটি চিঠি মঙ্গলবারই ইমেল করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিধানসভার সচিবালয়ে। এই অনাস্থা প্রস্তাবের জেরেই অধিবেশনে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে এই অধিবেশনেই সরকার পক্ষ নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করবে।
নিয়ম অনুযায়ী, স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে ৫০ জন বিধায়কের স্বাক্ষর প্রয়োজন। এদিকে স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের সময় অধিবেশন চালাবেন ডেপুটি স্পিকার। সেই ক্ষেত্রে বিহারের বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার মহেশ্বর হাজারি অধিবেশনের সভাপতিত্ব করবেন। তিনি জেডিইউ-র। এই আবহে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেডিইউ নেতা বলেন, ‘সাধারণত সরকার বদলের পর স্পিকারের পদত্যাগ করা উচিত। তবে এটা তাঁর সিদ্ধান্ত পুরোপুরি।’ এই আবহে বুধবার ক্যাবিনেট বৈঠক করেন নীতীশ কুমার এবং তেজস্বী যাদব। এরপরই তাঁরা ২৪ অগস্ট বিধানসভার অধিবেশন ডাকার প্রস্
আরও পড়ুন: দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং জনকল্যাণের মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে, পর্যবেক্ষণ SC-র
এদিকে জানা গিয়েছে, বিহারের পট পরিবর্তনের পর পাঁচ সদস্যের এথিকস কমিটির মিটিং ডাকার ব্যাপারে তোড়জোড় শুরু করেছিলেন স্পিকার। এরপরই ময়দানে নেমে পড়েন জেডিইউ নেতৃত্ব। এই বিষয়ে স্পিকার বিজয় কুমার সিনহা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী একটি চিঠি দিয়েছেন। তিনি বিধানসভার অধিবেশন আহ্বান করতে বলেছেন। সচিবের কাছে সব বিবরণ আছে। একবার আমরা ফাইলটি পেয়ে গেলে, আমরা আরও বিস্তারে জানতে পারব। যতদিন আমি এই পদে আছি, ততদিন বাইরে এই বিষয়ে কোনও বক্তব্য রাখব না।’