এখনও দু'মাস বাকি আছে দুর্গাপুজোর। তবে কোনওরকম ঝুঁকির পথে হাঁটল না ওড়িশা সরকার। সোমবার জানিয়ে দেওয়া হল, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এবার দুর্গাপুজো-সহ কোনওরকম উৎসবে দর্শনার্থীদের জমায়েতে অনুমতি দেওয়া হবে না। পুজোর উদ্যোক্তা, পুরোহিত-সহ সর্বাধিক সাতজন পুজোর মণ্ডপে উপস্থিত থাকতে পারবেন। অর্থাৎ পুজোর মণ্ডপে দর্শনার্থীরা ঢুকতে পারবেন না।
স্পেশাল রিলিফ কমিশনারের কার্যালয়ের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, 'গণেশপুজো, দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো এবং অন্যান্য উৎসব পালনের ক্ষেত্রে রাজ্যজুড়ে কোনওরকম জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হবে না। তবে করোনাভাইরাস বিধি মেনে নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে চার্চ বা মন্দির বা মসজিদ-সহ বা ধর্মীয়স্থান খোলা রাখা যাবে।'
গত বছরও পুজোর মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশের অনুমতি দেয়নি ওড়িশা সরকার। এবার রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মণ্ডপের তিনদিক ঘেরা থাকবে। একদিক অপরদিক এমনভাবে ঘেরা থাকবে, যাতে দর্শনার্থীরা মূর্তি দেখতে না পারেন। মূর্তির উচ্চতা চার ফুটের বেশি হবে না। বিসর্জনে শোভাযাত্রার উপরও নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকবে। স্থানীয় প্রশাসন যে কৃত্রিম পুকুর তৈরি করবে, সেখানে প্রতিমার বিসর্জন করতে হবে। সেইসঙ্গে পুজো বা কোনওরকম উৎসবের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, 'পুজো মণ্ডপে উপস্থিত থাকা সকলকে সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরা, স্যানিটাইজেশনের মতো যাবতীয় করোনা বিধি মেনে চলতে হবে। যাবতীয় সুরক্ষাবিধি মেনে নাগরিকরা সংশ্লিষ্ট পুজো মণ্ডপ বা উৎসবেের চত্বরে দিয়ে দেখতে পারবেন। কোনওরকম জমায়েত করা যাবে না। তাঁদের যাবতীয় করোনা বিধি মনে চলতে হবে।'