বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কিছু পাওয়া যায়নি, দাবি সিটের, কাকে আড়াল?

গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কিছু পাওয়া যায়নি, দাবি সিটের, কাকে আড়াল?

 ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে সিট-এর মুখোমুখি হয়েছিলেন রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

জাকিয়া তাঁর অভিযোগে উল্লেখ করেছিলেন যে ২০০২ সালে গোধরা হত্যাকাণ্ডের পর থেকে একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকে। রাজ্য সরকার ও পুলিশ এই দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

২০০২ সাল। গুজরাত দাঙ্গায় কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ। এনিয়ে তৎকালীন সরকারকে বিঁধে নালিশ করেছিলেন মৃত কংগ্রেস সাংসদ এশান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরি। তবে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আগেই গুজরাত সরকারকে ক্লিন চিট দিয়েছিল স্পেশাল ইনভেসটিগেশন টিম। এদিকে বুধবার সিটের তরফে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়েছে, তৎকালীন গুজরাতের মুখ্য়মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পুলিশের নেতৃত্বে যে দাঙ্গার বৃহত্তর পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছিল তা নিয়ে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। সেকারণেই এই অভিযোগটিকে এবার বন্ধ করা হচ্ছে বলেও দাবি সিটের। 

এদিকে জাকিয়া তাঁর অভিযোগে উল্লেখ করেছিলেন যে ২০০২ সালে গোধরা হত্যাকাণ্ডের পর থেকে একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকে। রাজ্য সরকার ও পুলিশ এই দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছিল সিট। এনিয়ে নানা আইনী লড়াই হয়। সিটের তরফে আইনজীবী মুকুল রোহতাগি বলেন, সিট দেখেছে বিষয়টিকে আর টেনে নিয়ে যাওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে এটি প্রায় বন্ধের পর্যায়ে ফেলা হচ্ছে। 

 

এদিকে সিটের এই অবস্থানকে ঘিরে প্রশ্ন তুলেছেন জাকিয়ার পক্ষের বিশিষ্ট আইনজীবী কপিল সিবাল। তিনি বলেন, সিট কেন তেহলকার স্টিং অপারেশনকে এড়িয়ে গেল সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। যে স্টিং অপারেশনকে মান্যতা দিয়েছিল সিবিআই। সেই স্টিং অপারেশনে একাধিক রাজনৈতিক নেতা, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্য ও দক্ষিণপন্থী সংগঠনের সদস্যরা গোধরার ঘটনার আগে বোম, অস্ত্র সংগ্রহের ব্যাপারে স্বীকার করে নিয়েছিলেন। এমনকী বজরঙ দলের নেতা বাবু বজরঙ্গীর তেহলকার সাংবাদিকের কাছে করা স্বীকারোক্তিও তুলে ধরেন কপিল সিবাল। তাঁর প্রশ্ন, কাকে আড়াল করার চেষ্টা করছে সিট? 

 

বন্ধ করুন