চলতি অর্থবর্ষে বাজারে নতুন করে কোনও ২,০০০ টাকার নোট ছাড়া হবে না। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) রিপোর্ট উল্লেখ করে সিএনবিসি-নিউজ১৮-এর প্রতিবেদনে সে কথা জানানো হয়েছে।
গত বছরও (২০২০-২০২১ অর্থবর্ষ) নতুন করে বাজারে কোনও ২,০০০ টাকার নোট ছাড়েনি ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। তবে অর্থবর্ষে নোটের ব্যবহার ০.৩ শতাংশের মতো কমেছে। গত অর্থবর্ষে ২২৩,৩০১ লাখ নোট ব্যবহার করা হয়েছিল। ২০১৯-১৯ অর্থবর্ষে সেই সংখ্যাটা ছিল ২২৩,৮৭৫ লাখ। তারইমধ্যে অর্থনীতিতে যে পরিমাণ অর্থের জোগান আছে, তার বেশিরভাগটাই ৫০০ টাকা এবং ২,০০০ টাকার নোটের মাধ্যমে। সবমিলিয়ে ৫০০ এবং ২,০০০ টাকার নোট মিলিয়েই বাজারের ৮৫.৭ শতাংশ অর্থ এসেছে। যা ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের থেকেও বেশি।
২০১৯-২০ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছিল, সেই বছর একটাও ২,০০০ টাকার নোট ছাপা হয়নি। সুরক্ষাজনিত কারণে আপাতত ভারতীয় মুদ্রার সবথেকে মূল্যবান নোট ছাপার প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে আচমকাই যে ২,০০০ টাকার নোট ছাপার প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়েছে, তা নয়। বরং ক্রমশ নতুন করে ২,০০০ টাকার নোট ছাড়ার মাত্রা কমিয়ে আনছিল আরবিআই। যা পরবর্তীতে একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, চলতি বছর লোকসভায় লিখিত বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছিলেন, কোনও ব্যাঙ্কনোট ছাপানোর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তা নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে শলা-পরামর্শ করা হয়। মূলত মানুষের লেনদেনের কাজে সুবিধার জন্য যে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, সেটাই করা হয়। সবকিছু বিচার করেই ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে কোনও নোট ছাপানো হয়নি। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে অনেক নোট ছাপানো হলেও ধাপে ধাপে গত কয়েক বছরে সেই সংখ্যাটি কমেছে। কেন্দ্রের একটি অংশের তরফে দাবি করা হয়, মূলত কালো টাকা রোখার জন্য ও মানুষ যাতে নিজেদের কাছে বড় নোট বেশি কুক্ষিগত না করে রাখেন, তার জন্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।