কোভিডের জেরে ড্রাইভিং লাইসেন্স, আরসি-র পুনর্নবীকরণের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩১ অক্টোবর করে কেন্দ্র। বিগত দিনে একাধিক দফায় এই সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। তবে এবার কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন যএ ৩১ অক্টোবরের পর নথি পুনর্নবীকরণের মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না। তিনি বলেন, 'এটি স্পষ্ট করা হয়েছে যে এটিই এই ধরনের শেষ এক্সটেনশন এবং কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে আর কোনও মেয়াদ বৃদ্ধি করবে না।'
উল্লেখ্য, বৈধ লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে ৫০০০ টাকা জরিমানা হয়, অন্য অবৈধ নথির জন্য জরিমানা হয় ৫০০০ টারা (রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট), ১০,০০০ টাকা (বাণিজ্যিক যানবাহনের পারমিট), ২০০০ থেকে ৫০০০ (মালবাহী গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট)।
এর আগে মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাস রুখতে দেশজুড়ে যে কঠিন পরিস্থিতি আছে, সেই বিষয়টি বিবেচনা করে যে সমস্ত নথির বৈধতার মেয়াদ বাড়ানো যায়নি বা লকডাউনের কারণে সম্ভবত বাড়ানো হবে না এবং গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বা চলতি বছরের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে মেয়াদ পেরিয়ে যাবে, সেগুলির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত সেই নথিগুলি বৈধ বলে বিবেচনা করা হবে। যা করোনা পরিস্থিতিতেও নাগরিকদের পরিবহণ সংক্রান্ত সমস্ত ধরনের পরিষেবা পেতে সাহায্য করবে। সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকেও সেই মোটর ভেহিকেলস সংক্রান্ত নথির বৈধতার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে জানিয়েছে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। যাতে কোনও নাগরিক বা সংস্থাকে হেনস্থার শিকার না হতে হয়, তা নিশ্চিত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এমনিতে করোনা পরিস্থিতিতে একাধিকবার ড্রাইভিং লাইসেন্স-সহ মোটর ভেহিকেলস সংক্রান্ত নথির বৈধতার মেয়াদ বাড়িয়েছে কেন্দ্র। ১৯৮৮ সালের মোটর ভেহিকেলস আইন এবং ১৯৮৯ সালের কেন্দ্রীয় মোটর ভেহিকেলস নিয়মাবলী সংক্রান্ত নথি নিয়ে গত বছরের ৩০ মার্চ, ৯ জুন, ২৪ অগস্ট, ২৭ ডিসেম্বর; চলতি বছরের ২৬ মার্চ, ১৭ জুন নির্দেশিকা জারি করেছিল কেন্দ্র। গত ১৭ জুনের নির্দেশিকায় সেই বৈধতার মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছিল।