বিশ্বকল্যাণ পুরকায়স্থ
অসমের শ্রীভূমি( পূর্বতন করিমগঞ্জ) ও কাছারে এবার কড়া সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশিদের কোনও পরিষেবা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন, ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননার প্রতিবাদে এবার পালটা পদক্ষেপ নিল অসমের হোটেল ব্যবসায়ীদের একাংশ।
এদিকে বরাক উপত্যকার কিছু প্রতিবাদকারীর দাবি বাংলাদেশিদের চিকিৎসা করা যাবে না। তাদের দাবি অন্তত দশ হাজার বাংলাদেশি প্রতি মাসে অসমে এসে চিকিৎসা করান। এখানকার হোটেলে থাকেন। সেটা করা যাবে না।
তবে হোটেল মালিকদের যারা সে দেশে ধর্মীয় সংখ্য়ালঘুদের তাদের চিকিৎসায় কোনো বাধা নেই।
হোটেল মালিকদের দাবি, বহু কারণে বাংলাদেশিরা অসমে আসেন। বহুজন আসেন চিকিৎসা করাতে। তবে এবার থেকে আমাদের হোটেলে তাদের থাকতে দেব না। আমাদের পতাকাকে ওরা অপমান করেছে আমরা তার প্রতিবাদ করছি।
জয় রাধে সেবা সমিতির শনিবার কাছার ও শ্রীভূমির বেসরকারি হাসপাতালের কাছে আবেদন করেছে যাতে বাংলাদেশিদের চিকিৎসা করানো না হয়। ওই সংস্থার নেতা জয়দ্বীপ চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্য়ালঘুরা আসতে পারেন। কিন্তু যারা তাদের অত্যাচার করছে তাদের চিকিৎসা করাতে দেব না। শিলচরে দুটি বাংলাদেশি স্টোরকে ট্রেড ফেয়ার থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে খবর। পুলিশ জানিয়েছে, কিছু মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। আমরা কথা বলেছিলাম স্টোরগুলির সঙ্গে। এরপর তারা নিজেরাই চলে যান।
পুলিশ জানিয়েছে গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ করতে পারেন। কিন্তু আইন ভাঙতে দেওয়া হবে না।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে,
এর আগে অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি সোমবার ঘোষণা করেছিল, ২ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের আর হোটেলে থাকতে দেওয়া হবে না।
হোটেলগুলোকে তাদের ফ্রন্ট ডেস্কে পোস্টার প্রদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। সমিতি নিরাপত্তা তল্লাশি বাড়ানোর ওপরও জোর দিয়েছে।
হোটেল মালিক সমিতির সম্পাদক ভাস্কর চক্রবর্তী বলেছিলেন যে হোটেল মালিকরা বাংলাদেশি নাগরিকদের পরিষেবা প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্তে ঐক্যবদ্ধ এবং অবিলম্বে এটি কার্যকর করবে। অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি ঘোষণা করেছে, ত্রিপুরার হোটেলে বাংলাদেশি নাগরিকদের থাকতে দেওয়া হবে না।
এবার সেই একই পথে হাঁটল অসমের একাংশ। বরাক উপত্যকার কিছু প্রতিবাদকারীর দাবি বাংলাদেশিদের চিকিৎসা করা যাবে না। তাদের দাবি অন্তত দশ হাজার বাংলাদেশি প্রতি মাসে অসমে এসে চিকিৎসা করান। এখানকার হোটেলে থাকেন। সেটা করা যাবে না।