এর আগে ত্রিপুরার একটা বেসরকারি হাসপাতাল জানিয়েছিল বাংলাদেশের রোগীদের চিকিৎসা করব না। কার্যত ভারতের পতাকার অপমান করেছেন বাংলাদেশিরা। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত। এবার ত্রিপুরার হোটেল অ্যাসোসিয়েশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে কোনও পর্যটক ত্রিপুরায় এলে তাদের জন্য ত্রিপুরায় হোটেল দেওয়া হবে না।
অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, হোটেল বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য ঘর দেবে না। রেস্তরাঁ তাদের জন্য় কোনও খাবার দেবে না।
ত্রিপুরায় বাংলাদেশি মিশনের কাছে বিরাট মিছিল বের করেছিলেন সেখানকার বাসিন্দারা। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির প্রতিবাদে এই মিছিল। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলার প্রতিবাদে এই মিছিল।
এদিকে বাংলাদেশি মিশনের মধ্যে অন্তত ৫০জন প্রতিবাদকারী ঢুকে পড়েন। তাদের দেখে ভয় পেয়ে যান সেখানকার স্টাফরা। ভারত জানিয়েছেন, কূটনৈতিক কোনও সম্পত্তিতে আঘাত হানাটা ঠিক নয়।
তবে ত্রিপুরার হোটেল অ্যাসোসিয়েশের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ত্রিপুরাতেও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। সেখানেও প্রতিবাদের ঝড় বইছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে ফুঁসছে ত্রিপুরার বাসিন্দারাও। একের পর এক প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।
এর আগে বাংলাদেশে ভারতগামী বাসের উপর হামলা চালানো হয়েছিল। তা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন ত্রিপুরার মুখ্য়মন্ত্রী।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ড. মানিক সাহা বলেছিলেন, শনিবার বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিশ্বরোডে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী বাসে যে হামলার কথা বলা হচ্ছে এবং দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের দ্রুত সংশোধন করা উচিত, অন্যথায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সঠিক সময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা ভাবাই যায় না। বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তারা যদি নিজেদের সংশোধন করে নেয় তাহলে তো ভালোই, নইলে আরো অনেক ঘটনা আছে বলে শুনেছি। আমি সেই তথ্যগুলি যাচাই করার পরে মন্তব্য করব, তবে সেখানে যা চলছে তা ভাল নয়, ’ জানিয়েছিলেন ত্রিপুরার মুখ্য়মন্ত্রী।
সেখানকার (বাংলাদেশ) সংখ্যালঘুদের ওপর তাদের নৃশংসতা বিশ্ববাসী দেখছে। আমি আশা করি এই ঘটনাগুলি আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেন্দ্রীয় নেতারা পর্যবেক্ষণ করছেন। তারা নিশ্চয়ই সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ত্রিপুরা যেহেতু তিন দিক থেকে বাংলাদেশ দ্বারা বেষ্টিত, তাই আমরা বিএসএফ এবং ডিজিপির সঙ্গে কড়া নজরদারি নিয়ে আলোচনা করেছি।
এবার সেই ত্রিপুরাতেই বাংলাদেশি পর্যটকদের বয়কট করল হোটেল অ্যাসোসিয়েশন।