ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে শুরু হয়েছে অপারেশন গঙ্গা। ধীরে ধীরে ইউক্রেন সংলগ্ন দেশগুলির পথে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এদিকে আশঙ্কা , উদ্বেগে রাত কাটছে সেখানে আটকে পড়া ভারতীয় পরিবারগুলির। এই পরিস্থিতিতে আজ বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানান, ‘আমি যতদূর জানি, খারকিভে আর একজনও ভারতীয় নেই।’ উল্লেখ্য, রুশ হামলার জেরে প্রবলভাবে বিধ্বস্ত ইউক্রেনের শহর খারকিভ।
এদিন দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। তিনি বলেন, আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পিসোচিন ও খারকিভ থেকে সমস্ত ভারতীয়দের উদ্ধারের কাজ সম্পন্ন হবে। তিনি জানান খারকিভে তাঁর জ্ঞানত আর কোনও ভারতীয় নেই। তবে এবার উদ্ধারের প্রক্রিয়ায় মূল ফোকাস হল সামি। সেখান থেকে ভারতীয়দের উদ্ধার করার ক্ষেত্রে একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে দিল্লিকে পড়তে হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। মূলত, যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে যেহেতু পরিবহন বন্ধ হয়ে গিয়েছে, ফলে সমস্যা বাড়ছে বহু ভারতীয়কে উদ্ধারের ক্ষেত্রে। তবে কেন্দ্র জানিয়েছে যাবতীয় চ্যালেঞ্জকে সঙ্গে নিয়েই তারা ভারতীয়দের উদ্ধারে ব্রতী।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে যুদ্ধপরিস্থিতিতে আটকে পড়া ভারতীয়দের প্রতি আশ্বাসবার্তা দিয়েছে সেখানে অবস্থিত ভারতের রাষ্ট্র দূতাবাস। দূতাবাস জানিয়েছে, ‘চেষ্টায় কোনও কমতি রাখা হবে না’ সামি থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে। আটকে পড়া সকল পড়ুয়াকে ধৈর্য রাখতে বলা হয়েছে
এদিকে, ইউক্রেনিয় শহর সামিতে ভারতীয়দের উদ্ধারের জন্য ইউক্রেন ও রাশিয়া দুই দেশের কাছে যুদ্ধবিরতির আর্জি জানিয়েছে কেন্দ্র। অরিন্দম বাগচি জানান, যেহেতু সামি প্রবল শেলিং চলছে , তাই সেখানে প্রাণ রক্ষা ও প্রাণ উদ্ধার করা বড় ইস্যু হতে পারে। তিনি জানান , সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতের পড়ুয়ারা অনেকটাই সুরক্ষিত। দেশের তরফে একটি দল পূর্ব প্রান্তের দিকে রওনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের সচিব। তবে ভারতীয়দের উদ্ধারে মূল সমস্যা এখনও পর্যন্ত রয়েছে গিয়েছে রাশিয়ার শেলিং।