তাহলে কি মহারাষ্ট্রে আবারও শিবসেনার হাত ধরতে চলেছে বিজেপি? সঞ্জয় রাউতের সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাজনৈতিক মহলে সেরকম কানাঘুষো শুরু হলেও যাবতীয় গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফড়ণবীস দাবি করেন, উদ্ধব ঠাকরের সরকারের উপর একেবারেই ‘অখুশি’ মানুষ। ‘নিজেদের ব্যর্থতার কারণেই সেই সরকার ভেঙে পড়বে’ বলে দাবি করেন ফড়ণবীস। তবে তাতে যে বিজেপির কোনও ‘হাত’ থাকবে না, তাও স্পষ্ট করে দেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘শিবসেনার সঙ্গে হাত মেলানো বা সরকার ফেলে দেওয়ার কোনও অভিপ্রায় নেই আমাদের। তবে সরকার পড়ে গেলে আমরা দেখব।’
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে লাগাতার বাকযুদ্ধ চলছে শিবসেনা ও বিজেপির। একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগারের ক্ষেত্রে দু'দলের অন্যতম পুরোধা ছিলেন রাউত এবং ফড়ণবীস। বিশেষত বিজেপি ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কঙ্গনা রানাওয়াতের অফিসের একাংশ ভেঙে দেওয়া নিয়ে দুই নেতার মধ্যে কথার লড়াই চরমে উঠেছিল।
তারইমধ্যে শনিবার মুম্বইয়ের পশ্চিম শহরতলির একটি বিলাসবহুল হোটেল দেখা করেন রাউত ও ফড়ণবীস। গত বছর বিধানসভা নির্বাচন শেষে জোট ভেঙে যাওয়ার এই প্রথম দুই নেতা দেখা করেছেন। দু'ঘণ্টার সেই বৈঠক ঘিরে স্বভাবতই রাজনৈতিক মহলে তুমুল জল্পনা শুরু হয়।
যদিও শিবসেনা সাংসদ দাবি করেছেন, বৈঠকের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। শিবসেনার মুখপাত্র সমনার কার্যনির্বাহী সম্পাদক বলেন, 'কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য গতকাল (শনিবার) আমি দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। উনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, উনি বিরোধী দলনেতা এবং বিহার নির্বাচনে বিজেপির দায়িত্বে আছেন। মতাদর্শ নিয়ে আমাদের মধ্যে বিভেদ থাকতে পারে। তবে আমরা শত্রু নই।'
পরে রাউত আরও জানান যে সাক্ষাৎকারের বিষয়টি আলোচনার জন্য আগেভাগেই বৈঠকের বিষয়টি ঠিক করা হয়েছে। উদ্ধবও সেই বিষয়ে পুরোপুরি অবহিত ছিলেন বলে দাবি করেন রাউত।
তবে মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতার সঙ্গে রাউতের সাক্ষাতের বিষয়ে একেবারেই না-খুশ কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপম অভিযোগ করেন, শিরোনামে উঠে আসতে ব্যস্ত রাউত। মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘যখন সেটা হয়, রাজনৈতিক জীবন শেষ হয়। রাউতের প্রতি আমার এটা অভিশাপ নয়, কিন্তু এটাই বাস্তব।’