বাংলাদেশে এবারের দুর্গাপুজোয় তিনদিনের ছুটি পাবেন সরকারি কর্মীরা। মেনে নিয়েছে সেদেশের সরকার। তবে কেমন হবে বাংলাদেশের দুর্গাপুজো? তবে পুজো কেমন হবে সেটা জানা যাবে কয়েকদিন পরে। তবে যেটা জানা গিয়েছে সেটা হল বাংলাদেশের যে রামকৃষ্ণ মিশন রয়েছে সেখানে এবার কুমারী পুজো হবে না। বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির জেরে এবার কুমারী পুজো না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মূলত ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে এবার কুমারী পুজো হবে না। তবে দুর্গাপুজো হবে আগের মতোই।
কিন্তু ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পুজো না হলেও অন্যত্র অর্থাৎ ঢাকার বাইরে মিশনের যে অন্যান্য শাখা রয়েছে সেখানে কুমারী পুজো হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ. কুমিল্লা, বাগেরাহাট সহ বিভিন্ন জায়গায় রামকৃষ্ণ মিশনের শাখা রয়েছে। সেখানে কুমারী পুজো হবে আগের মতোই।
এদিকে এর আগে করোনা পরিস্থিতির সময় ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পুজো স্থগিত করা হয়েছিল। কারণ সেই সময় সংক্রমণ এড়ানোর জন্য দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হয়েছিল। সেকারণে যাতে ভিড় বেশি না হয় সেকারণে কুমারী পুজো বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে এবারও বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে কুমারী পুজো বন্ধের কথা বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের অন্যত্র কেমন দুর্গাপুজো হয় সেটাও দেখার।
তবে করোনাই হোক কিংবা অন্যান্য পরিস্থিতি রামকৃষ্ণ মিশনের পুজো বন্ধের নজির সেভাবে নেই। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে কেবলমাত্র কুমারী পুজো বন্ধ রাখা হচ্ছে। দুর্গাপুজো যেমন হত তেমনটাই হবে।
এদিকে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। বর্তমানে সেখানে ক্ষমতায় রয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সেই সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা শেখ ইউনুস ইতিমধ্যেই হিন্দুদের সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে তার মধ্য়েই বাংলাদেশে কতটা সুরক্ষিত হিন্দুরা তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
তবে বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর সময় অন্তত তিনদিন সরকারি ছুটির দাবি জানিয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। এবার কার্যত সেই দাবি মেনে নিচ্ছে সরকার। এবার বাংলাদেশে সরকারি চাকরিরতরা অন্তত তিনদিনের সরকারি ছুটি পাবেন। এক্ষেত্রে সরকারি কর্মীদের মধ্য়ে কিছুটা হলেও খুশির খবর। তবে এর আগে ইনসাফ কায়েমকারি ছাত্র জনতা নামে একটি সংগঠন দুর্গাপুজোর সময় কোনও ছুটি দেওয়া যাবে না বলে দাবি করেছিলেন। তবে আপাতত ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। একেবারে টানা তিনদিনের ছুটি।