জরুরি অবস্থা (১৯৭৫-৭৭) হোক বা মুম্বই দাঙ্গা (১৯৯২-৯৩) - যাবতীয় প্রতিকূলতাকে জয় করে গত ৮৬ টা বছর ধরে গণেশ পুজো হয়ে আসছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সেই ঐতিহ্যে ছেদ পড়তে চলেছে মুম্বইয়ের অন্যতম বড় গণেশ পুজোয়।
দক্ষিণ মুম্বইয়ের চিনচপোকলির লালবাউগছা রাজা গণপতি মণ্ডলের তরফে জানানো হয়েছে, এবার প্যান্ডেলে ১৪ ফুটের গণেশের মূর্তি শোভা পাবে না। পুজোর পরিবর্তে প্যান্ডেলে আগামী ২২ অগস্ট থেকে ১১ দিনের রক্ত এবং প্লাজমা দানের কর্মসূচি চলবে। করোনা মোকাবিলায় সেই শিবির শহরের স্বাস্থ্য কর্মীদের সহায়তা করবে বলে জানান কমিটির সভাপতি বালাসাহেব সুদাম কাম্বলে।
লালবাউগছা রাজার প্রধান মূর্তি নির্মাতা সন্তোষ কাম্বলি জানান, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া এতটা সহজ ছিল না। তিনি বলেন, ‘বাকি সর্বজনীন পুজোয় দুটি মূর্তি থাকে। পুজোর জন্য ছোটো মূর্তি এবং দর্শনের জন্য বড় মূর্তি। কিন্তু লালবাউগতে একটিই ১৪ ফুট মূর্তি থাকে।’ তা দেখতে প্রতি বছর মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্ত ১.৫ কোটির বেশি মানুষ আসেন। ভক্তরা মুক্তহস্তে দানও করেন। যে অর্থ পরে বিভিন্ন সামাজিক কাজে ব্যবহার করা হয়। গত বছর ১২ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছিল কমিটি।
পুজো কমিটির সেই সিদ্ধান্তকে অনেকে স্বাগত জানালেও কেউ কেউ নিদেনপক্ষে ছোটো করে পুজোর পক্ষে সওয়াল করেন। তাঁদের মতে, শহরের বড় পুজোর মধ্যে অন্যতম ১৯৩৪ সালে চিনচপোকলির কোলিস মৎস্য সম্প্রদায়ের হাত ধরে শুরু হওয়া এই পুজো। সেখানে প্রার্থনা করলে যাবতীয় মনবাসনা পূর্ণ হয় বলে বিশ্বাস মুম্বইবাসীর।