কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা অবলুুপ্তির প্রথম বছরের প্রাক্কালে নয়া রাজনৈতিক ম্যাপ প্রকাশ করল পাকিস্তান। সেখানে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ, এই দুই কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের ওপর নিজেদের অধিকার ফলানোর চেষ্টা করল ইসলামাবাদ। একই সঙ্গে গুজরাতের একাংশকেও ম্যাপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
স্বভাবতই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত। পুরোটাই রাজনৈতিক ভাবে অবাস্তব বলে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক যেখানে ভারতের অঞ্চলের ওপর নিজেদের দাবি জানিয়েছে পাকিস্তান। এই সব অবাস্তব দাবির কোনও আইনি বৈধতা ও আন্তর্জাতিক বিশ্বে স্বীকৃতি বলেই জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। নর্থ ব্লক বলেছে যে এই ম্যাপের মাধ্যমে পাকিস্তানের স্বরূপ প্রকাশ পেয়েছে যেখানে সন্ত্রাস ব্যবহার করে জমি দখল করতে চায় তারা।
এই নয়া ম্যাপে জম্মু-কাশ্মীরকে পাকিস্তানের অংশ হিসাবে দেখানো হয়েছে। পাকিস্তানের দাবি এই জমি অবৈধ ভাবে দখল করেছে ভারত ও এটি বিতর্কিত ভূমি যার চূড়ান্ত স্ট্যাটাস ঠিক করবে রাষ্ট্রপূঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ।
তবে চিনের ভয়ে জুজু পাকিস্তান লাদাখকে নিজেদের অংশ বলে দেখায়নি। সেখানে লেখা ফ্রন্টিয়ার আনডিফাইন্ড। অর্থাৎ এই জমি কার তা ঠিক হয়নি বলে ইসলামাবাদের দাবি। সিয়াচেনকেও পাকিস্তানের অংশ হিসাবে দেখানো হয়েছে।
অন্যদিকে গুজরাতের স্যার ক্রিককে মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে সব চেয়ে যেটা অভিনব হল যে গুজরাতের জুনাগড় ও মানবগড়কে নিজেদের অংশ বলে দাবি করছেন ইমরান খান। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার সময় জুনাগড়ের নবাব পাকিস্তানে যেতে চেয়েছিলেন যদিও জনতা তা চায়নি। পরে তিনি পাকিস্তানে পালিয়ে যান।
নয়া মানচিত্র প্রকাশ করাকে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বলে জানিয়ে ইমরান খান বলেন যে স্কুল, কলেজে এটিই পড়ানো হবে। তিনি বলেন যে তাঁরা রাজনৈতিক ভাবেই এই সংগ্রাম লড়তে চান, তার জন্যেই এই নয়া মানচিত্র।