শনিবার রাস্তায় নেমে যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কথা বলেছেন, তাঁদের আটক করা হয়নি বলে জানাল দিল্লি পুলিশ।
এর আগে কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয় যে মধ্য প্রদেশের উদ্দেশে হেঁটে চলা পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে কথোপকথনের জেরে তাঁদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের ডিসিপি দক্ষিণ পূর্ব আর পি মীনা জানিয়েছেন, ‘আমরা কোনও পরিযায়ী শ্রমিককে আটক করিনি। রাহুল গান্ধী এসে কয়েক জন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলেন। পরে ওঁর সমর্থকরা পরিযায়ী শ্রমিকদের গাড়িতে তুলে নিয়ে যান।’
এ দিন সকালে দিল্লির সুখদেব বিহারের ফ্লাইওভারের কাছে আম্বালা থেকে ঝাঁসির পথে হেঁটেচলা কয়েক জন পরিযায়ী শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। ফুপাথে শ্রমিকদের পাশে বসে তিনি জানতে চান তাঁদের কোনও রকম অসুবিধা হচ্ছে কি না। তাতে একজন শ্রমিক জানান, তাঁদের খাবার ও পানীয় জলের অভাব রয়েছে। টানা ৫০ দিনে মাত্র ৪-৫ দিন কাজ জোটায় রোজগারেও টান পড়েছে। বাধ্য হয়ে তাঁরা নিজের রাজ্যে ফিরতে হাঁটা শুরু করেছেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: বাচ্চা সমস্যায় পড়লে বাবা-মা কী ঋণ দেয় না খাবার- করোনা প্যাকেজ নিয়ে কেন্দ্রকে প্রশ্ন রাহুলের
এর পর রাহুলের নির্দেশে তাঁদের গাড়িতে তুলে উত্তর প্রদেশ সীমান্তে সে রাজ্যের কংগ্রেস কর্মীদের হাতে তুলে দেন দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্যরা। ঠিক হয় উত্তর প্রদেশ ও মধ্য প্রদেশের সীমান্তে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে গিয়ে মধ্য প্রদেশের কংগ্রেস কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তাঁরাই তাঁদের ঝাঁসি জেলার নির্দিষ্ট গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।
এ দিকে, শ্রমিকদের ফ্লাইওভারের সামনে থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পরে কংগ্রেসের তরফে টুইটারে অভিযোগ প্রকাশ করে বলা হয় যে, রাহুলের সঙ্গে কথা বলার পরেই শ্রমিকদের আটক করেছে পুলিশ। সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দিল্লি পুলিশের ডিসিপি দক্ষিণ পূর্ব আর পি মীনা।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের জেরে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করায় কাজ হারানো পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে এর আগে বেশ কয়েক বার কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধে বিবৃতি দিয়েছেন রাহুল গান্ধী।