স্কুলের খেলার মাঠ অথবা স্কুলের সম্পত্তির বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে রাজনৈতিক সভা সমিতি হওয়ার ঘটনা আগে বহুবার দেখা গিয়েছে। তবে এবার থেকে আর স্কুলের সম্পত্তি ব্যবহার করে বা স্কুলের খেলার মাঠ ব্যবহার করে রাজনৈতিক সভা সমিতি করা যাবে না। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার স্কুল দফতরের তরফে এই নোটিস জারি করা হয়েছে। বিপ্লব দেব সরকারের স্কুল বিভাগের ডিরেক্টর চাদনি চন্দ্রন এই মর্মে নোটিস জারি করেছেন।
ত্রিপুরায় জারি করা নোটিসে জানিয়ে দেওয়া হয়, '...খেলার মাঠ সহ স্কুলের কোনও অংশ রাজনৈতিক দলগুলি বা কোনও আয়োজকরা ব্যবহা করতে পারবেন না রাজনৈতিক সভা, সমিতির জন্য'। তবে , সভা ও সমিতি আয়োজনের ক্ষেত্রে কয়েকটি নির্দিষ্ট শর্ত লাগু হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, স্কুলের পঠনপাঠনের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর যদি কোনও সভা করার প্রস্তাব থাকে, তাহলে তার জন্য নিতে হবে 'নো অবজেকশন সার্টিফিকেট'। আর তা নিতে হবে ডিরেক্টর অফ সেকেন্ডারি বা এলিমেন্টারি এডুকেশন ডিরোক্টোরেটের কাছ থেকে। তবে এক্ষেত্রেও স্কুলের ছুটির দিনেই করতে হবে অনুষ্ঠান অথবা স্কুলের পঠনপাঠন শেষে আয়োজন করতে হবে তা। উল্লেখ্য, সরকাররে তরফে জানানো হচ্ছে বহু সময়ই 'নো অবজেকশন সার্টিফিকেট' ছাড়া স্কুলের হেডমাস্টাররা স্কুলের অংশ রাজনৈতিক সভা সমিতিগুলির জন্য দিয়ে থাকেন। যা বিধি লঙ্ঘনের শামিল। তবে কোভিডের জন্য একটা বড় সময় স্কুল বম্ধ থাকার পর আর আগের মতো প্রক্রিয়ায় স্কুলের অংশ রাজনৈতিক সভা সমিতির জন্য দেওয়া সম্ভব নয়।
নোটিসে জানানো হয়েছে, যদি এমন সভা সমিতির জন্য কোনও স্কুলের হেডমাস্টারের স্বাক্ষর পাওয়া যায় ছাড়পত্রে তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি সংশ্লিষ্ট দফতেকর অনুমতি ছাড়াও স্কুলের চৌহদ্দিতে সভা সমিতি আয়োজিত হয়,তাহলেও ওই স্কুলের হেডমাস্টারের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা। হেডমাস্টার বা ভারপ্রাপ্ত হেডমাস্টাররা সেক্ষেত্রে দায়বদ্ধ থাকবেন স্কুল ইনসপেক্টর বা সংশ্লিষ্ট জেলার শিক্ষা সংক্রান্ত প্রশাসনের কাছে।