কেরলের ওয়েনাড় আসন থেকে ভোট লড়বেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। প্রথমবারের জন্য। এই আসনে এর আগে রাহুল গান্ধী দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি জিতেও গিয়েছিলেন বিপুল ভোটে। কিন্তু দুটি আসনে জিতে যাওয়ায় একটা আসন ছেড়ে দিচ্ছেন। আর সেই ওয়েনাড় থেকে দাঁড়াচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা। এই প্রথম সংসদীয় লড়াইতে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
এদিকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে প্রিয়াঙ্কার নাম ঘোষণা করতেই তিনি বলেন, আমি একটুও নার্ভাস হচ্ছি না।
তিনি বলেন, ওয়েনাড়ের মানুষের জন্য কাজ করতে পারব। এতে আমি খুব খুশি। আমি এটা বলতে পারি যে ওর ( রাহুল গান্ধী) অনুপস্থিতি কখনও বুঝতে দেব না। আমি মাঝেমধ্য়েই আসব তবে কঠিন পরিশ্রম করব, সকলকে খুশি করার চেষ্টা করে যাব।
এদিকে আমেঠিও এবার কংগ্রেসের দখলে চলে এসেছে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছেন, এটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে রাহুল গান্ধী রায়বেরেলিতে থাকবেন। এটা তার হৃদয়ের কাছাকাছি। এখানকার মানুষ ওই পরিবারেরই সদস্য।
এদিকে ওয়েনাড়ের মানুষকে ধন্য়বাদ দিয়ে রাহুল বলেন, এবার থেকে তাঁদের দুজন প্রতিনিধি থাকবেন সংসদে।
এদিকে ২০১৯ সালেই মনে করা হয়েছিল বারাণসী থেকে ভোটে লড়বেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু সেবার দল কিছুটা অপেক্ষা করেছিল। এবার তারা ওয়েনাড় থেকে দাঁড় করাচ্ছে প্রিয়াঙ্কাকে।
এদিকে রাহুল গান্ধী যে আসন থেকে এবার জিতেছিলেন সেখান থেকেই দাঁড়ালেন প্রিয়াঙ্কা। জোর লড়াই হতে পারে উপনির্বাচনে। তবে এবার তাঁর বিরুদ্ধে কে প্রার্থী হবেন সেটা নিশ্চিত নয়।
এবার কেরলের ওয়েনাড থেকে ৩,৬৪,৪২২ ভোটে জেতেন রাহুল। সেই কেন্দ্রে এবার ত্রিমুখী লড়াই হয়েছিল। সিপিআইএমের টিকিটে লড়াই করেছিলেন অ্যানি রাজা। আর বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রন। অ্যানিকে ৩.৬ লাখের বেশি ভোটে দাঁড়িয়ে দেন রাহুল। তৃতীয় স্থানে টলে যান বিজেপি প্রার্থী। বিপুল জয় পান রাহুল গান্ধী। আর এবার সেই আসনেই লড়বেন বোন প্রিয়াঙ্কা।
রাহুল গান্ধী বলেন, 'গত পাঁচ বছর ধরে ওয়েনাড়ে সাংসদ থাকার যে অভিজ্ঞতা ছিল, সেটা দুর্দান্ত ছিল। দারুণ অভিজ্ঞতা লাভ করেছি। প্রতিটি কঠিন পরিস্থিতিতে লড়াই করার জন্য আমায় সাহায্য এবং শক্তি জুগিয়েছিলেন ওয়েনাড়ের মানুষ। আমি কখনও সেটা ভুলব না।' তিনি বলেন, ‘আমি ওয়েনাড়ে যাব। আর ওয়েনাড়ের মানুষের কাছে যে প্রতিজ্ঞা করেছি, সেটা পূরণ করব।’