এক সপ্তাহ আগেই ত্রিপুরায় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর অফলাইন ক্লাস বন্ধ করেছিল ত্রিপুরা সরকার। তবে পরিস্থিতি লাগামের বাইরে চলে যাওয়ায় এবার সেরাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরই অফলাইন ক্লাসের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল বিপ্লব দেবের নেতৃত্বাধীন সরকার। করোনা আবহে এই নিষেধাজ্ঞা আপাতত অনির্দিষ্ট কালের জন্য লাগু থাকবে বলে জানানো হয়েছে। করোনা আবহে ফের একবার অনলাইনেই ক্লাস চলবে।
তবে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূর্ব নির্ধারিত পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে, সেগুলি করোনা বিধি মেনে করানো যাবে বলে জানিয়ে দিয়েছে সরকার। রাজ্যে সরকারি এবং সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত স্কুলের সংখ্যা ৪,৪০০। তাছাড়া সেরাজ্যে ২২টি ডিগ্রি কলেজ রয়েছে। তাছাড়া তিনটি সরকারি এবং একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এই সবটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই পরবর্তী নোটিশ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এই বিষয়ে ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, 'ত্রিপুরা সহ গোটা দেশেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। যদিও অন্য রাজ্যের তুলনায় ত্রিপুরায় সংক্রমণের মাত্রা কম, তাও কোনও ঝুঁকি না নিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে সব স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রযুক্তিগত এবং পেশাদার প্রতিষ্ঠানের অফলাইন ক্লাস বন্ধ থাকবে। তবে পরীক্ষার সূচিতে কোনও বদল আনা হচ্ছে না।'
তিনি আরও বলেন, 'মে ১৮ এবং ১৯ থেকে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষা হওয়ার কথা। এখনও পর্যন্ত পরীক্ষার সেই সূচিতে কোনও রদবদল আনা হয়নি।' তাছাড়া বিভিন্ন স্কুলের তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণীর পরীক্ষার সূচিও বদল করা হচ্ছে না বলে জানিয়ে দিলেন ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী।
পরীক্ষার দিনে এবং অন্যান্য দিন শিক্ষক এবং অ-শিক্ষক কর্মী মিলিয়ে ৫০ শতাংশ কর্মচারী স্কুলে উপস্থিত থাকতে পারবেন। এর আগে গতবছর অতিমারীর জেরে প্রায় ৯ মাস বন্ধ ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। সেই সময় অনলাইনেই ক্লাস চলেছে সেখানে। এবার ফের একবার সেই পথে হাঁটতে বাধ্য হবে পড়ুয়া এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি।