লাদাখে চিনের সঙ্গে সংঘাতের অবসান ঘটাতে সব রকম সামরিক ও কূটনৈতিক পদক্ষেপের সাহায্যে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব সুনিশ্চিত করছে ভারত সরকার।
শনিবার একটি টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান,যে কোনও রকম আক্রমণ প্রতিহত করতে প্রস্তুত রয়েছে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী। প্রসঙ্গত, মাত্র কিছু দিন আগেই পূর্ব ভারতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির জেরে চিনা সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
নিউজ ১৮ টিভি চ্যানেলের ওই সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রতিটি ইঞ্চি জমি রক্ষার জন্য আমরা সদা তৎপর। কেউ তা কেড়ে নিতে পারবে না। দেশের সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত সুরক্ষিত রাখার যোগ্যতা রয়েছে আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের।’
মোল্লেখ না করে চিনের সাম্প্রতিক সামরিক তৎপরতার প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি দেশই সব সময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকে। এই জন্যই সেনাবাহিনী রাখা হয়, যাতে যে কোনও রকম আক্রমণ প্রতিহত করা যায়। কোনও বিশেষ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এ কথা বলছি না, কিন্তু ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী সব সময় তৈরি আছে।’
প্রসঙ্গত, গত ১৩ অক্টোবর ভারত ও চিনের মধ্যে সপ্তম দফার কূটনৈতিক আলোচনা নাগাড়ে ১২ ঘণ্টার বেশি সময় পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছে। তচুশুলের সেই বৈঠকের পরের দিন দুই দেশের তরফে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পূর্ব লাদাখে সেনা প্রত্যাহার সম্পর্কে শান্তিপূর্ণ আলোচনা বহাল থাকবে এবং তার মাধ্যমে পারস্পরিক সমঝোতায় পৌঁছবার চেষ্টা করবে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র।
যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ভারত-চিন সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আন্তরিক, গভীর এবং গঠনমূলক মতামত বিনিময় হয়েছে। মনে করা হচ্ছে এই আলোচনা সদর্থক, গঠনমূলক এবং পারস্পরিক অবস্থান স্পষ্ট করার পক্ষে ফলপ্রসূ হয়েছে।’
সীমান্ত বিরোধের জেরে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের তরফেই ইতিমধ্যে ৫০,০০০ এর বেশি সেনা এবং অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম মজুত করা হয়েছে। সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা চললেও সীমান্তে দীর্ঘমেয়েদী সংঘাতের প্রস্তুতি নিয়েছে ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী।