কোরান অবমাননার গুজবে লাগাতার নির্যাতনের পর এবার নিজেদের দাবিদাওয়া আদায়ে পথে নামতে চলেছেন বাংলাদেশের হিন্দুরা। সেদেশের হিন্দু মহাজোটের তরফে আয়োজিত এক সাংবদিক বৈঠকে সরকারের কাছে ৩ দফা দাবিসনদ পেশ করা হয়েছে। সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে ১৫ দিনের মধ্যে দাবিগুলি না মানা হলে পথে নামবেন সেদেশের হিন্দুরা।
দুর্গাপুজোর অষ্টমীতে কোরান অবমাননার গুজব ছড়ায় বাংলাদেশের কুমিল্লা শহরে। তার জেরে সেখানে একাধিক পুজোমণ্ডপ ও মন্দিরে ভাঙচুর চালায় চরমপন্থী মুসলিমরা। একই রকম ভাঙচুর চলে সেদেশের ২০ জেলার হিন্দু মন্দির ও মণ্ডপগুলিতে। খুন করা হয় অন্তত ৮ জন হিন্দুকে। যার জেরে গোটা বিশ্বে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় হাসিনা সরকারকে। যদিও পরে চাপের মুখে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে হাসিনা সরকারের প্রশাসন। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির ও ব্যক্তিদের কী সুরাহা হবে তা এখনো জানায়নি আওয়ামি লিগ সরকার।
শুক্রবার সকালে ঢাকায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, অবিলম্বে দুষ্কৃতী হানায় ক্ষতিগ্রস্ত সমস্ত মন্দির ও স্থাপনা পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে। ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এছাড়া সেদেশের সর্বোচ্চ আইনসভা জাতীয় সংসদে সংখ্যালঘু হিন্দুদের জন্য ৬০টি আসন সংরক্ষণ করতে হবে। তাদের জন্য চালু করতে হবে পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক তৈরি করতে হবে ও অন্তত ১ জন হিন্দুকে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব দিতে হবে।
হিন্দু মহাজোটের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, ধর্মকে ঢাল করে রাজনৈতিক উদ্দেশে দুর্গাপুজোর সময় হিন্দুদের ওপর হামলা হয়েছে। এমনকী কুমিল্লায় ১৩ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত একাধিক হিন্দু উপাসনাস্থলে হামলা হলেও পুলিশকে ফোন করে পাওয়া যায়নি। এগিয়ে আসেননি কোনও রাজনৈতিক নেতা বা সুশীল সমাজের প্রতিনিধি। বিনা বাধায় তাণ্ডব চালিয়েছে চরমপন্থী মুসলিমরা।