শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় এক সঙ্গে ২৪টি আলো জ্বলে উঠেছিল পদ্মা সেতুতে। এই দৃশ্যে খুব স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছসিত ছিলেন সেতুকর্মীরা। কিন্তু এর মধ্যেই পাওয়া গেল কিছুটা বিষাদের খবর। জানা গেল, পদ্মা সেতু আগামী ২৫ জুন সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন। কিন্তু ওই দিনই পদ্মা সেতু সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে না।
সেতুর প্রধান ইঞ্জিনিয়ার আবদুল কাদের খুব উৎসাহের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, এই প্রথম সেতু আলোকিত হল। এর আগে বাতিগুলো স্থাপন করা হলেও বিদ্যুৎসংযোগ দেওয়া হয়নি। সেতুর ১২ নম্বর স্প্যানের পশ্চিম ও পূর্ব দিকের বাতিগুলি জ্বালানো হয়। সেতুর অন্যতম বৈশিষ্ট হল, এই বাতিগুলির কোনও একটি নিভে গেলে বা কোনও তার বিকল হয়ে গেলে বিকল্প লাইনে বাতি জ্বলে উঠবে।
গত বছর ২৫ নভেম্ববর ল্যাম্পপোস্ট বসানো শুরু হয় ইতিমধ্যে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুতে মোট ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে মূল সেতুতে রয়েছে ৩২৮টি। এর বাইরে দু প্রান্তে আছে মোট ৮৭টি বাতি। সব ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ এখনও বাকি রয়েছে।
বাতি জ্বালানোর সময় সাধারণ মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। বহু দূর থেকে অনেকে এই অনুষ্ঠান দেখতে এসেছিলেন।
আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সেতু উদ্বোধন করবেন। বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সরকারের তরফে চলছে বিপুল কর্মযজ্ঞ। অপেক্ষায় ছিলেন এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষও।
কিন্তু সাধারণ মানুষ বা উচ্ছসিত সেতুকর্মী,সবার উৎসাহ উদ্দীপনায় একরাশ হতাশা ঢেলে দিলেন বাংলাদেশ সরকারের সেতু বিভাগের সচিব। বুধবার, তিনি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করে জানান, ২৫ জুন সর্বসাধারণের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হচ্ছে না।
বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে যে এই ঘোষণায় স্বাভাবিকভাবেই হতাশ ওই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। তাঁরা খুব আগ্রহের সঙ্গে বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শরিক হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন।
দ্বিতল বিশিষ্ট পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সর্ববৃহত সেতু। সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার।সেতুটি দেশের দক্ষিন ও পশ্চিমের ১৯টি জেলাকে সরাসরি যুক্ত করবে।আগামী ২৫ জুন, উদ্বোধনের পর যানবাহন চলাচল আরম্ভ হবে। অদূর ভবিষ্যতে রেল চলাচলও শুরু হবে।