দিল্লির এক দায়রা নগর আদালতকে দিল্লি পুলিশ জানাল যে রাজধানীতে ৯ বছর বয়সীর যেই ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, সেই ঘটনায় নাবালিকা যে ধর্ষিত হয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। প্রসঙ্গত, ২ অগস্টের ওই ঘটনার পর তদন্তের স্বার্থেই পুলিশ ৯ বছরের বালিকার দেহাবশেষ সংরক্ষণ করে। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়েটির দেহের অধিকাংশ অংশই পুড়ে গিয়েছিল। তবে তার পায়ের পাতা দু’টি অক্ষত ছিল। তবে পরীক্ষা করে ধর্ষণের কোনও প্রমাণ খুঁজে পাননি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে বুধবার সেই নাবালিকার দেহাবশেষ দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালের তরফ থেকে মেয়েটির বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর গ্রামের শ্মশানেই নাবালিকার শেষকৃত্য করা হয়। অবশিষ্ট দেহাবশেষ-সহ মেয়েটির পায়ের পাতাই অন্ত্যেষ্টির জন্য ব্যবহার করা হয়। নীয় শ্মশানে মেয়েটির অন্ত্যেষ্টি চলাকালীন সেখানে ২৫ থেকে ৩০ জনের একটা জটলা এসে জড়ো হয়। তাঁরা শেষকৃত্যে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু মৃতার পরিবারের সদস্যরা তাতে রাজি না হওয়ায় পুলিশ তাঁদের ফিরে যেতে বলে।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। মৃতার মায়ের বয়ানের ভিত্তিতেই তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩৭৬ এবং ৫০৬ নম্বর ধারায় মামলা শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি, পকসো আইন এবং তফশিলি জাতি ও উপজাতি আইনের বিভিন্ন ধারাও এই মামলায় যোগ করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় হস্তক্ষেপ করছে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনও। ইতিমধ্যেই তাদের তরফে স্থানীয় জেলাশাসককে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে। জেলাশাসকের দফতরের পক্ষ থেকেও গোটা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।