লোক নামিয়ে ম্যানহোল সাফাইয়ের কাজে বর্তমানে কারও নিযুক্ত থাকার রিপোর্ট নেই। দেশে 'ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জিং'-এর কাজ করতে গিয়ে কোনও মৃত্যুর খবরও মেলেনি। মঙ্গলবার লোকসভায় এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রী রামদাস আঠাওয়ালে।
ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জার নিয়োগের নিষেধাজ্ঞা এবং পুনর্বাসন আইন, ২০১৩ (MS আইন)-এর অধীনে, দেশে ম্যানহোল সাফের কাজে লোক নিযুক্ত করা বেআইনি।
বহুজন সমাজ পার্টির সাংসদ গিরিশ চন্দ্র দেশের ম্যানহোল সাফাইকর্মীদের পরিস্থিতি এবং তাঁদের কর্মসংস্থানের অবস্থা সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন। তার উত্তরেই এই তথ্য দেয় কেন্দ্র।
আটওয়ালে জানান, গত পাঁচ বছরে 'নর্দমা এবং সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করার সময়ে দুর্ঘটনার কারণে প্রায় ৩৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারপরেই রয়েছে তামিলনাড়ু(৪৩), দিল্লি(৪২) এবং হরিয়ানা(৩৬)।
'স্বচ্ছ ভারত মিশনের অধীনে, ২ অক্টোবর, ২০১৪ থেকে, গ্রামীণ এলাকায় ১০.৯৯ কোটিরও বেশি স্যানিটারি টয়লেট তৈরি করা হয়েছে। এটি ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জিংয়ের অবসান ঘটাতে বিপুল অবদান রেখেছে,' জানিয়েছে কেন্দ্র।
যদিও, কেন্দ্র একটি পৃথক প্রতিক্রিয়ায় ম্যানহোল সাফাইকর্মীদের অস্তিত্ব স্বীকার করেছে। তাতে বলা হয়েছে যে, সরকার স্ব-কর্মসংস্থান প্রকল্পের অধীনে তাঁদের পুনর্বাসনের জন্য সহায়তা প্রদান করছে। পরিবারে এক-একজন চিহ্নিত ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জার পিছু সরকার ৪০,০০০ টাকা এককালীন নগদ সহায়তা প্রদান করে। এর ফলে তাঁরা অন্য কোনও পেশায় নিয়োজিত হওয়ার পুঁজি লাভ করবেন।
কেন্দ্র মেথর এবং তাঁদের পরিবারকে প্রতি মাসে ৩,০০০ টাকা বৃত্তি-সহ দুই বছর পর্যন্ত দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ প্রদান করছে বলে জানানো হয়েছে।