স্বামী এবং স্ত্রী হিসাবে একসঙ্গে বসবাসকারী দুই সম্মতিপ্রাপ্ত প্রাপ্তবয়স্কদের জীবনে হস্তক্ষেপ করতে পারেন না কোনও তৃতীয় ব্যক্তি। পরিবারের সদস্যরাও এই দুই ব্যক্তির জীবনে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। রাজ্য জাতি বা সম্প্রদায় নির্বিশেষে এই বিবাহিত দম্পতিদের রক্ষা করতে বাধ্য হবে। এক মামলার শুনানি চলাকালীন এমনটাই পর্যবেক্ষণ দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট। দিল্লির উচ্চ আদালতের বিচারপতি তুষার রাও গেদেলা বলেছেন যে দেশের নাগরিকদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। পাশাপাশি তিনি বলেন, এমন কোনও ক্ষেত্রে দেশের আদালতগুলিকে নাগরিকদের সুরক্ষার আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সংবিধানের দ্বারা।
এক দম্পতির একটি আবেদনের ভিত্তিতে আদালতের তরফে এই পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। মামলাকারীরা দাবি করেন যে তাঁরা তাঁদের পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করেন। এর পর থেকেই তাঁরা ভয়ের কারণে বিভিন্ন হোটেলে বসবাস করছেন এবং তাঁদের রক্ষা করা না হলে তাঁরা শান্তি পাবেন না। আবেদনকারী মহিলা বলেছিলেন যে তাঁর বাবা উত্তরপ্রদেশের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি রাজনৈতিকভাবে সুসংযুক্ত ব্যক্তি। তিনি জানান, তাঁর বাবা-মা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা তাঁর সম্পর্কের কারণে তাঁকে নির্যাতন ও হয়রানি করে। এরপর তিনি বাড়ি ছেড়ে চলে যান।
এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি গেদেলা দিল্লি পুলিশের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন যে, আবেদনকারীদের মধ্যে কেউ যদি হুমকির কোনও ঘটনা সম্পর্কে জানান, তাহলে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে হবে পুলিশকে। বিচারপতি বলেন, ‘আমি মনে করি যে রাষ্ট্র তার নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য সাংবিধানিক ভাবে বাধ্য। বিশেষ করে এমন ক্ষেত্রে যেখানে বর্ণ বা সম্প্রদায় নির্বিশেষে দুই সম্মতিপ্রাপ্ত প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বিয়ে হয়েছে।’