এমার্জেন্সি কনট্রাসেপটিভ পিলস। আপৎকালীন জন্মনিরোধক বড়ি। বিদেশে বহুল পরিচিত। তবে ২০০২ সাল থেকে এই ধরনের বড়ি আসে ভারতে। যদি যৌন সঙ্গমের পরে ৭২ ঘণ্টার মধ্য়ে এই পিল খাওয়া যায় তবে গর্ভবতী হওয়া রুখে দেওয়া যায়। তবে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন যে কোনও ধরনের হরমোনাল কনট্রাসেপটিভ ওষুধ তার মধ্য়ে এই এমার্জেন্সি কনট্রাসেপটিভ পিলস রয়েছে সেগুলি শর্তসাপেক্ষে বিক্রি নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে পরিকল্পনা রয়েছে। মূলত প্রেসক্রিপশন ছাড়া যাতে এই ধরনের ওষুধ বিক্রি করা না হয় সেটাই নিয়ম করার ব্যাপারে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন একটি সাব কমিটি তৈরি করেছে। তারাই গোটা বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। তবে এজন্য এজন্য ১৯৪৫ সালের ড্রাগস অ্য়ান্ড কসমেটিকস রুলসকে কিছুটা বদলানো দরকার। কেবলমাত্র প্রেসক্রিপশনেই যাতে এই ধরনের ওষুধ দেওয়া হয় সেব্যাপারে নিয়ম করা হচ্ছে।
এদিকে শীঘ্রই এই প্যানেল তাদের রিপোর্ট জমা দেবে। এদিকে এই ধরনের জন্মনিরোধক বড়ির ক্ষেত্রে প্রেসক্রিপশন থাকাটা কার্যত বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। চিকিৎসকরাই এই ধরনের ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কতটা উপকার আর কতটা ঝুঁকি সেটা দেখবেন। ইতিমধ্য়েই এই ইস্যুটা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
এদিকে এমার্জেন্সি কনট্রাসেপটিভ পিলস খাওয়ার পরে কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে এর সামান্য কিছু সাইড এফেক্ট থেকেই যায়। তার মধ্যে অন্যতম হল-
তলপেটে ব্যাথা
বমি বমি ভাব
মাথার যন্ত্রণা
ক্লান্তিভাব
আচ্ছন্নতা
মাসিকের সময় প্রচন্ড রক্তপাত
স্তনে অন্যরকম ব্যাথা
এমনকী এই ধরনের পিল খাওয়ার পরে কিছু ক্ষেত্রে মাসিকেরও গন্ডগোল হয়ে যায়। হয় নির্ধারিত সময়ের থেকে আগে বা পরে হয়ে যায়। তবে নির্ধারিত সময়ের দু সপ্তাহ পরেও যদি মাসিক না হয় তবে একবার প্রেগন্যান্সি টেস্ট করে নেওয়াটা দরকার।
এদিকে ধারাবাহিকভাবে কেউ যদি এই ধরনের বড়ি খান তবে তাঁর মাসিকের নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে জন্ম নিরোধক হিসাবে লাগাতার ব্যবহার করার জন্য এই ইসিপিকে কখনওই সুপারিশ করা হয় না।
এই ধরনের এমার্জেন্সি পিলস কি ক্ষতিকারক?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের এমার্জেন্সি কনট্রাসেপটিভ পিলস লাগাতার না খাওয়াটাই ভালো। এর জেরে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এটাকে ধারাবাহিকভাবে জন্মনিরোধক পিলস হিসাবে ব্যবহার করাটা ঠিক নয়। মূলত আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এটা ব্যবহার করা যেতে পারে।