বাংলাদেশের অনেকে বলেন, জুলাই বিপ্লব। আর সেই জুলাই বিপ্লবের সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেল থেকে অন্তত ২ হাজার ২০০ জন আসামি পালিয়ে গিয়েছিল। জুলাই ও অগস্টের গণ অভ্যুত্থানের সময়তেই এই বিপুল সংখ্য়ক আসামি জেল থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। এদিকে বাংলাদেশের কারা দফতর কার্যত স্বীকার করে নিল বিষয়টি। এখানেই শেষ নয় বাংলাদেশ কারা দফতরের মহা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মহম্মদ মোতাহের হোসেন সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, ২ হাজার ২০০ জন আসামি পালিয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যে ১ হাজার ৫০০জনকে পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু ৭০০জন এখনও পলাতক। তিনি জানিয়েছেন তার মধ্য়ে ৭০জন জঙ্গি ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি। খবর প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে।
এবার প্রশ্ন এই বিপুল সংখ্য়ক জঙ্গি গেল কোথায়? কারণ তারা যদি বাইরে থাকে আর তারা যদি কোথায় নাশকতার পরিকল্পনা করে তাহলে বিরাট বিপদ হয়ে যেতে পারে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সৈয়দ মহম্মদ মোতাহের হোসেন বলেন, দুর্নীতি -অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে চার কারা কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। আরও কিছু অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষ হওয়ার পরে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, গত ১৯শে জুলাই বিকেল বেলা নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা চালিয়ে অস্ত্র লুঠ করা হয়েছিল। সেই সময় কারাগারে থাকা ৮২৬জন বন্দি পালিয়ে যায়। সেই প্রসঙ্গ ব্রিগেডিয়ার জানিয়েছেন, নরসিংদী কারাগারে হামলা ও আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় জেলের জেলারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করে গাফিলতি পাওয়া গেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এখানেই শেষ নয়। বাংলাদেশের কারা বিভাগের কর্তা জানিয়েছেন, কারা বিভাগের লোগোতে নৌকাসহ একাধিক প্রতীক রয়েছে। সেই লোগোতে বদল আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এখানেই প্রশ্ন অন্তত ৫ মাস আগে জেল থেকে এতজন জঙ্গি পালিয়ে গিয়েছে। তারপরও তাদের কোনও খোঁজ দিতে পারছে না বাংলাদেশ। এবার প্রশ্ন তারা গেল কোথায়? তবে কি জঙ্গিরাও এবার বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্য়ে নিজেদের লুকিয়ে ফেলল? বাংলাদেশে একের পর এক ক্ষেত্রে হিন্দুদের উপর অত্যাচার নেমে আসছে। তারপরেও উদাসীন বাংলাদেশ সরকার। নানাভাবে বিষয়টি হালকা ও আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ৭০জন জঙ্গিকেও এতদিনেও ধরতে পারেনি বাংলাদেশ।