বিশ্বের সর্বত্রই নিলাম প্রথা চলে আসছে। যা দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবও বিস্তার করে। সেই তত্ত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন পল মিলগ্রোম ও রবার্ট উইলসন। উদ্ভাবন করেছেন নয়া এক ধরণের নিলাম প্রক্রিয়া। তাতে লাভবান হয়েছেন সারাবিশ্বের ক্রেতা, বিক্রেতা এবং করদাতারা। আর সেজন্য অর্থনীতিতে এবার নোবেল পেলেন দুই গবেষক।
নোবেল কমিটির তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নিলাম তত্ত্ব ব্যবহার করে দরদামের বিভিন্ন নিয়ম এবং চূড়ান্ত দামের ফলাফল বোঝার চেষ্টা করেছেন গবেষকরা। একটি সাধারণ দাম ধরে রবার্ট উইলসন নিলামের জন্য একটি তত্ত্বের উদ্ভাবন করেছেন। নিলামের শুরুতে যে দাম নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও শেষে তা প্রত্যেকের জন্য সমান হয়। তিনি আরও দেখিয়েছেন যে কেন বিডাররা কেন নিজেদের সাধ্যের থেকে নিলামে কম অর্থ হাঁকেন। কীভাবে তাঁরা বেশি অর্থ দিয়ে ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কায় থাকেন, সেই বিষয়টিও তুলে ধরেছেন ৮৩ বছরের গবেষক। যিনি আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক।
অন্যদিকে, পল মিলগ্রোম একটি সাধারণ তত্ত্ব তুলে ধরেছেন। যে নিলাম প্রক্রিয়ায় সাধারণ দামের পাশাপাশি বিডারদের মধ্যে দাম পরিবর্তন হয়। একাধিক নিলাম প্রথার পর্যালোচনা করে ৭২ বছরের গবেষক জানিয়েছেন, নিলামের সময় বিডাররা নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের দাম জেনে গেলে বিক্রেতারা বেশি লাভবান হন। রবার্ট উইলসনের মতো পল মিলগ্রোমও স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
নোবেল কমিটির তরফে বলা হয়েছে, ‘নয়া নিলামের ধরণ হল একটি দুর্দান্ত উহারণ। যা তুলে ধরে কীভাবে প্রাথমিক গবেষণার নয়া জিনিসের উদ্ভাবন হয় এবং তা সমাজের উপকারে লাগে।’ পুরস্কারমূল্যের এক কোটি সুইডিশ ক্রোনার (১.১ মিলিয়ন ডলারের মতো) পল মিলগ্রোম ও রবার্ট উইলসনের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে।
যে তত্ত্ব নিয়ে নোবেল জিতেছেন, সেই নিলাম প্রক্রিয়ায় নিজে কবে অংশ নিয়েছেন, তা বলতে গিয়ে রীতিমতো ভাবতে বসেন উইলসন। পরে মজার ছলে জানান, একটি ই-কমার্স সাইট থেকে তাঁর স্ত্রী স্কি বুট কিনেছেন। সেটা একটা নিলাম হতে পারে।