সাহিত্যে নোবেল পেলেন ফরাসি লেখিকা এরনো (Annie Ernaux)। ৮২ বছরের ফরাসি লেখিকা মূলত আত্মজীবনীমূলক বই লেখেন। নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত সাহসিকতা ও তীক্ষ্ণতার সঙ্গে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের দুঃখ-কষ্ট সামনে এনেছেন। লজ্জা, অপমান, ঈর্ষা বা অন্যের সাফল্য সহ্য করতে না পারার মতো বিষয় তুলে ধরে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
আরও পড়ুন: Nobel Prize 2022 for Chemistry: ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে দেখিয়েছেন দিশা, রসায়নে নোবেল পেলেন ৩ গবেষক
১৯৭৪ সালে অ্যানির প্রথম উপন্যাস (Les armoires vides) প্রকাশিত হয়েছিল। তখন থেকেই নিজের নরম্যান জাতিসত্ত্বা নিয়ে কাজ শুরু করেন। তবে তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে তুলেছিল চতুর্থ উপন্যাস লা প্যালেস। ১৯৮৩ সালে সেই উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছিল। সেই উপন্যাসে বাবার চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছিলেন। কীভাবে সমাজ তাঁর বাবাকে গড়ে তুলেছিল, তা দেখিয়েছিলেন অ্যানি।
পরবর্তীতে ধীরে-ধীরে জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকলেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্বীকৃতির জন্য ২০১৭ সাল পর্যন্ত অ্যানিকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল। অ্যানির মতো একজন লেখিকা যে অসামান্য সৃষ্টি করে যাচ্ছেন, তা সেইসময় জানতে পেরেছিল বিশ্ব। সেই বছর ২০০৮ সালের তাঁর অন্যতম সেরা ‘লে অ্যানি’-র অনুবাদ (দ্য ইয়ারস) প্রকাশিত হয়েছিল। যে অ্যানি বৃহস্পতিবার নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।
নোবেল কমিটির তরফে বলা হয়েছে, ‘অ্যানি বলেছেন যে লেখালেখি হল রাজনৈতিক কাজ। সমাজে যে বৈষম্য আছে, তা আমার নজরে নিয়ে আসবে (লেখালেখি)। সেজন্য অ্যানি বলেছেন যে ভাষাকে ছুরির মতো ব্যবহার করেন তিনি, যা কল্পনার পর্দা ছিঁড়ে ফেলবে।’ সঙ্গে নোবেল কমিটির তরফে বলা হয়েছে, 'লেখালেখির শক্তির স্বতন্ত্রতায় বিশ্বাস করেন অ্যানি এনরো। তাঁর লেখালেখি কখনও আপস করেনি এবং একেবারে সাধারণ ভাষায় লেখা হয়েছে - একেবারে স্বচ্ছ ভাষায়।'