ডেয়ারিতে কাজ করতেন। কিন্তু সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই রাগে জলের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে ৫৮ টি গরুকে হত্যা করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের নয়ডার।
‘হিন্দুস্তান টাইমস’ গ্রুপের ‘লাইভ হিন্দুস্তান’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন যে পাঁচদিনে ওমবীর নাগরের ডেয়ারিতে ৫৮ টি গরুর আচমকা মৃত্যু হয়। একের পর পর গরুর মৃত্যুর জেরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পশু চিকিৎসকদের দিয়ে মৃত গরুদের শারীরিক পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। জানা যায়, জলের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে গরুগুলিকে হত্যা করা হয়েছে। শুরু হয় তদন্ত। শেষপর্যন্ত ওমবীরের ডেয়ারির প্রাক্তন কর্মী ধর্মেন্দ্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তি নয়ডার সুরজপুর থানার অন্তর্গত খোদনা খুর্দ গ্রামেই থাকেন। যেখানে ওমবীরের ডেয়ারি আছে।
জেরায় ধর্মেন্দ্র জানিয়েছেন, তিনি নেশায় ডুবে থাকতেন। সেজন্য তাঁর ডেয়ারির কাজও চলে যায়। তার জেরেই মাথায় রাগ চেপে বসেছিল। সেই রাগের জেরেই গরুদের পানীয় জলে বিষ মিশিয়ে দেন। সেই জল খেয়েই পাঁচদিনেই ৫৮ টি গরুর মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, সপ্তাহকয়েক আগেই উত্তরপ্রদেশের পড়শি রাজ্য মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলায় খাদে ফেলে দেওয়া হয় ১৪০ টি গরুকে। জানা গিয়েছে এই গরুগুলি দুধ দেওয়ার ক্ষমতা হারিয়েছে। সেজন্য নিজের ফসল বাঁচাতে এই গরুগুলিকে খাদে ফেলে দেন এক কৃষক। অভিযোগ ওঠে, সেই ঘটনায় অনেক গরু গুরুতর আঘাত পেয়েছে এবং বেশ কয়েকটি গরু মারা গিয়েছে।